দৈনন্দিন সুরক্ষা প্রশ্নোত্তর

সন্তানের জন্ম-পরবর্তী নিবন্ধন প্রক্রিয়া

(১) জন্ম নিবন্ধন

এনএইচকে দৈনন্দিন জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। যেসব শিশু জাপানে জন্মগ্রহণ করে এবং জাপানেই প্রতিপালিত হয় তাদের জন্য সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবা পেতে হলে বিদেশি নাগরিক’সহ সব অভিভাবককে অবশ্যই স্থানীয় পৌরসভা কার্যালয়ে কয়েকটি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। চলতি সিরিজে আমরা এই প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো ব্যাখ্যা করবো। আজ প্রথম পর্বে জন্ম নিবন্ধনের উপর আলোকপাত করবো। কানাগাওয়া ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

সন্তান জন্মগ্রহণ করার ১৪ দিনের মধ্যে পিতামাতাকে অবশ্যই স্থানীয় পৌরসভার কাছে তাদের সদ্যজাত সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুটি সেই পৌর এলাকার রেসিডেন্ট রেজিস্ট্রেশন পাবে, অর্থাৎ সেখানকার বসবাসকারী হিসেবে নিবন্ধিত হবে। এটি করা না হলে শিশুটিকে কোনো স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থার আওতার মধ্যে আনা যাবে না। শুধু তাই নয়, শিশুটির জন্য ‘স্ট্যাটাস অফ রেসিডেন্স ইন জাপান’ বা জাপানে বসবাসের মর্যাদা লাভের আবেদনও করা যাবে না।

জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন পত্র সাধারণত হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হয়। আবেদন পত্রের বাঁদিকে পিতামাতাকে তাদের সদ্যজাত শিশু’র নাম এবং তার জন্মের তারিখ ও জন্মের সময় লিখতে হবে। ডান দিকের স্থান পূরণ করার দায়িত্ব হাসপাতালের। বিদেশি শিশুর ক্ষেত্রে তার নাম জাপানি কাতাকানা লিপি এবং একইসঙ্গে ইংরেজি হরফেও লিখতে হবে। পিতামাতা যদি চীন বা কোরিয়ার নাগরিক হন, তারা তাদের সন্তানের নাম কাঞ্জি লিপিতেও লিখতে পারেন। নিবন্ধনের জন্য এই দলিল এবং এর সঙ্গে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত হ্যান্ডবুক বা পুস্তিকাটি দরকার হয়।

নিবন্ধনের সময় একটি সার্টিফিকেট অফ রেসিডেন্স সংগ্রহ করে নিতে ভুলবেন না, যার মধ্যে শিশুর নাম এবং সার্টিফিকেট অফ অ্যাকসেপটেন্স অফ বার্থ রিপোর্ট’সহ বিভিন্ন তথ্য মুদ্রিত থাকবে। অভিবাসন এবং দূতাবাসে অন্যান্য প্রক্রিয়ায় এই দলিলটি দরকার হবে।

এই তথ্যগুলো ২০২৩ সালের ১৫ই ডিসেম্বরের পর্যন্ত নেয়া।

(২) শিশুরোগের চিকিৎসা খরচ বাবদ ভর্তুকি

এনএইচকে দৈনন্দিন জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। যেসব শিশু জাপানে জন্মগ্রহণ করে এবং জাপানেই প্রতিপালিত হয় তাদের জন্য সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবা পেতে হলে বিদেশি নাগরিক’সহ সব অভিভাবককে অবশ্যই স্থানীয় পৌরসভা কার্যালয়ে কয়েকটি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। চলতি সিরিজে আমরা এই প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো ব্যাখ্যা করবো। আজ আমরা শিশুরোগের চিকিৎসা খরচ বাবদ ভর্তুকির জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয়, সেই প্রক্রিয়ার উপর নজর দেব। কানাগাওয়া ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

একটি শিশু জন্ম নেয়ার পর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন দাখিলের পাশাপাশি আরও একাধিক প্রক্রিয়া রয়েছে যা স্থানীয় পৌরসভায় সম্পন্ন করতেই হয়।

এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শিশুরোগের চিকিৎসার জন্য ভর্তুকি পেতে একটি যোগ্যতার সনদের জন্য আবেদন করা। এই সনদের মাধ্যমে কোলের শিশু’সহ অন্যান্য শিশুরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে। পৌরসভা ভেদে বয়স এবং অভিভাবকের উপার্জনের সীমা ভিন্ন হতে পারে। শিশুর জন্মের ১৪ দিনের মধ্যেই এই যোগ্যতার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভর্তুকি পাওয়ার জন্য শিশুটির অবশ্যই স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে।

শিশুর স্বাস্থ্য বীমার আবেদনের জন্য, যেসব অভিভাবকের জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা রয়েছে, তাদের পৌরসভা কার্যালয়েই এসংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করা উচিত। আর যেসব অভিভাবকের সামাজিক বীমা রয়েছে, তাদের উচিত তাদের কর্মক্ষেত্রে আবেদন করা।

এছাড়া, সরকার শিশু ভাতাও প্রদান করে থাকে। অভিভাবকদের শিশু ভাতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই পৌরসভা কার্যালয়েই আবেদন করতে হবে। এছাড়া, জন্ম-পরবর্তী যোগাযোগের ফরমও দাখিল করতে ভুলবেন না যেন। এটি সদ্যোজাত শিশুদের বাড়িতে দেখতে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সক্ষম করে তুলবে।

এই তথ্যগুলো ২০২৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বরের পর্যন্ত নেয়া।

(৩) অভিবাসন পরিষেবা ব্যুরো এবং দূতাবাসের প্রক্রিয়া

এনএইচকে দৈনন্দিন জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার সাথে সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। যেসব শিশু জাপানে জন্মগ্রহণ করে এবং জাপানেই প্রতিপালিত হয় তাদের জন্য সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবা পেতে হলে বিদেশি নাগরিক’সহ সব অভিভাবককে অবশ্যই স্থানীয় পৌরসভা কার্যালয়ে কয়েকটি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। আজ, আমরা অভিবাসন পরিষেবা ব্যুরো এবং দূতাবাসের সাথে যেসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, তার উপর নজর দেব। কানাগাওয়া ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

অভিভাবকদের শিশুর জন্মের ৩০ দিনের মধ্যেই অভিবাসন পরিষেবা ব্যুরোতে নবজাতকের জন্য জাপানে থাকার অনুমতি চেয়ে আবেদন করার প্রয়োজন রয়েছে। মূলত, আপনার নিজের থাকার অনুমতির ধরনের উপর ভিত্তি করে, নির্ধারিত হবে আপনার শিশু কোন ধরনের থাকার অনুমতি পাবে। আপনি প্রয়োজনে অভিবাসন পরিষেবা ব্যুরোর ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন যে, কী ধরনের থাকার অনুমতি আপনার শিশু পাবে। আপনার শিশুর থাকার অনুমতির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে কোন ফি লাগবে না, তবে সার্টিফিকেট অব অ্যাকসেপ্টেন্স অফ বার্থ রিপোর্ট, পরিবারের সমস্ত সদস্যদের সার্টিফিকেট অব রেসিডেন্স, অভিভাবকের পাসপোর্ট এবং সার্টিফিকেট অব ট্যাক্স পেমেন্টের মতো কাগজপত্র জমা দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আবেদন করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, প্রয়োজনীয় সবকিছু আপনার কাছে রয়েছে।

আপনি দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে আপনার শিশুর জন্মগ্রহণকে আপনার দেশেও নিবন্ধন করতে পারেন। সে সংক্রান্ত প্রক্রিয়া এক দেশ থেকে অন্য দেশে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

অভিবাসন পরিষেবা ব্যুরো এবং দূতাবাসের সাথে এইসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপনি প্রশাসনিক মুহুরি পরিষেবা ব্যবহার করতে পারেন।

এই তথ্যগুলো ২০২৩ সালের ১৯শে ডিসেম্বরের পর্যন্ত নেয়া।