দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর

পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে কী করবেন

(১) পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী প্রধান ভালভটি বন্ধ করা

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে নিরাপদ কলের পানি সবসময় পাওয়া যায়। তবে ভূমিকম্প বা অন্যান্য বিপর্যয়ের কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন বড় ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হন। চলতি ধারাবাহিকে আমরা পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করার জন্য আপনাদের কাছে কিছু তথ্য তুলে ধরব। আজ প্রথম পর্বে পানির প্রবাহ বন্ধকরণজনিত ভালভের উপর আলোকপাত করব।

পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে প্রথম যে কাজটি আপনার করা উচিত তা হলো, মূল ভালভটি বন্ধ করে দেয়া। এটি আপনার বাড়িতে পানির পাইপে কর্দমাক্ত পানির প্রবেশ রোধ করতে সাহায্য করবে। অতীতের বিপর্যয়গুলোতে ঘোলা পানির কারণে শৌচাগার এবং পানির হিটারে ত্রুটি দেখা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

একক বাড়িগুলোতে, পানির প্রবাহ বন্ধ করার ভালভটি মাটির নিচে থাকা পানির মিটার বাক্সের অভ্যন্তরে থাকে। এর উপরিভাগে রয়েছে একটি বর্গক্ষেত্রাকৃতির ধাতব বা প্লাস্টিকের ঢাকনা।

আবাসিক কমপ্লেক্সগুলোর ক্ষেত্রে, কনডোমিনিয়াম এবং অ্যাপার্টমেন্টের জন্য পানির মিটার আলাদাভাবে স্থাপন করা হয়ে থাকতে পারে। কনডোমিনিয়ামগুলোতে, সাধারণত মিটারগুলো প্রায়ই প্রতিটি ফ্ল্যাট বা আবাসন ইউনিটের দরজার কাছে একটি বন্ধ করে রাখা প্রকোষ্ঠের ভিতরে থাকে। অপরদিকে অ্যাপার্টমেন্টে মিটারগুলো আলাদা বাড়ির মতোই মাটির নিচে থাকতে পারে, বা করিডোর কিংবা সবার প্রবেশাধিকার থাকা উন্মুক্ত স্থানেও থাকতে পারে। অন্যান্য পরিবারের মিটারগুলোও একই জায়গায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই আপনি আপনার নিজের ইউনিটের ভালভ বন্ধ করছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে মিটারের ফ্ল্যাট নম্বরটি ভালভাবে যাচাই করে দেখুন।

পানির প্রবাহ বন্ধ করতে ভালভটিকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরিয়ে দিন এবং পানির প্রবাহ পুনরায় চালু করতে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘোরান৷ নিরাপদ থাকার জন্য, আপনি আপনার শৌচাগার, পানির হিটার এবং কাপড় ধোয়ার মেশিনের ভালভটিও বন্ধ করার কথা বিবেচনা করে দেখতে পারেন।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মে মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(২) টয়লেট কীভাবে ব্যবহার করবেন

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে নিরাপদ কলের পানি সবসময় পাওয়া যায়। তবে ভূমিকম্প বা অন্যান্য বিপর্যয়ের কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন বড় ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হন। চলতি ধারাবাহিকে আমরা পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করার জন্য আপনাদের কাছে কিছু তথ্য তুলে ধরব। আজ আমরা জানব পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে টয়লেট কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।

ভূমিকম্প এবং অন্য কোনো কারণে বর্জ্য পানির পাইপ ভেঙ্গে গেলে ফ্লাশ করার পর টয়লেটে সেই পানি ফিরে আসতে পারে। এই পরিস্থিতিতে টয়লেট ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে আপনি নিশ্চিত হতে না পারলে আপনার উচিত প্লাম্বার বা আপনার ভবনের মালিক সমিতির কাছ থেকে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অবস্থা সম্বন্ধে পরামর্শ নেওয়া।

টয়লেট ফ্লাশ করা যাবে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত না থাকলে বা পানি সরবরাহ বন্ধ থাকলে, বহনযোগ্য টয়লেট ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার হাতের কাছে যদি বহনযোগ্য টয়লেট না থাকে, একটি সাধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে তাকে টয়লেটের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

এক্ষেত্রে প্রথমে, একটি বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে টয়লেটের বাটিটি ঢেকে দিন। তারপরে একে মজবুত করতে আরেকটি বড় ব্যাগ বসিয়ে দুটো স্তর তৈরি করুন। ব্যাগের তলায় ডায়াপার, পোষা প্রাণীর টয়লেটের কাগজ বা অন্য কোনো পানিশোষক বস্তু রাখুন। যদি বাটি ধরনের টয়লেট না থাকে, তাহলে মোটা, শক্ত কার্ডবোর্ডের কাগজ ব্যবহার করে একটি বাক্স তৈরি করুন এবং বাক্সের উপরের দিকের মাঝখানে একটি ছিদ্র করুন। এক্ষেত্রে একটি বালতিও ব্যবহার করা যাবে। তবে লক্ষ্য রাখবেন কার্ডবোর্ডের বাক্স বা বালতির উপর বসার সময় যাতে তার উপর খুব বেশি চাপ না পড়ে।

ডায়াপার বা পোষা প্রাণীর টয়লেটের কাগজের পরিবর্তে দুমড়ানো-মোচড়ানো সংবাদপত্রও ব্যবহার করা যাবে। মনে রাখবেন, সংবাদপত্র পানি কম শোষণ করে, তাই এগুলো কম স্বাস্থ্যকর এবং এদের ঘন ঘন ফেলতে হয়। ব্যাগগুলো ফেলার সময় খোলা অংশটি শক্তভাবে বেঁধে নিন এবং আপনার পৌরসভার আবর্জনা নিষ্কাশনের নির্দেশ অনুযায়ী এগুলো ফেলে দিন।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মে মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৩) পানি সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে আপনার কী নেওয়া উচিত

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে নিরাপদ কলের পানি সবসময় পাওয়া যায়। তবে ভূমিকম্প বা অন্যান্য বিপর্যয়ের কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন বড় ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হন। চলতি ধারাবাহিকে আমরা পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করার জন্য আপনাদের কাছে কিছু তথ্য তুলে ধরব। আজ আমরা জরুরি পানি সরবরাহ কেন্দ্রে সাথে করে কী নিয়ে যাওয়া উচিত তার উপর আলোকপাত করছি।

প্রথমত, আপনি এমন একটি পাত্রের ব্যবস্থা করুন যার মুখ খুব বড়। পানিবাহী ট্রাকের কলগুলো সাধারণ কলের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়ার কারণে একটি বড় আকারের পাত্র ব্যবহার করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেটা আপনি ভরে নিতে পারবেন, আবার পানির ছলকে পড়ার সম্ভাবনাও থাকবে না।

এরপর পানি সরবরাহ কেন্দ্রে যাওয়ার আগে কীভাবে পানি ভর্তি পাত্রটি বাড়িতে ফিরিয়ে আনা যায় সে সম্পর্কে আপনার চিন্তা করা উচিত। আপনি যত বেশি পানি নেবেন, পাত্রটি তত ভারী হয়ে যাবে। আপনাকে যদি সেই পাত্র নিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়, তবে পিঠে নেয়া যায় এমন রুকস্যাক ব্যাগ, ক্যারি কেস বা পাত্রটিকে বসিয়ে ঠেলে নিয়ে যাবেন এমন ট্রলি ব্যবহার করুন যাতে করে আপনার কোমরের উপর চাপ সৃষ্টি না হয়। আপনি যদি রুকস্যাক ব্যবহার করেন তবে ভিতরে একটি বড়, প্লাস্টিকের আবর্জনা ব্যাগ রাখুন। পানি ভরার পর ব্যাগটির মুখ শক্ত করে বাঁধতে ভুলবেন না। নিশ্চিত হওয়ার জন্য একটির জায়গায় দুটি প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করুন, একটির ভিতরে অপরটি।

তবে সম্প্রতি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন এমন নতুন ধাঁচের কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এধরনের কোন একটি কেন্দ্রে আপনি গাড়ি নিয়ে চলে যান, সেখানকার কর্মীরা আপনার পাত্রগুলোতে পানি ভরে দেবে।

পানি সরবরাহ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে পরিষেবাটি কোথায় এবং কখন সেবা পাওয়া যাবে, এধরনের তথ্য আপনি সাধারণত সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকারের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। পানি সরবরাহ কেন্দ্রে অবস্থানকালে অনুগ্রহ করে সেখানকার কর্মীদের নির্দেশসমূহ অনুসরণ করুন৷

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মে মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৪) ন্যূনতম পরিমাণ পানি ব্যবহার করে আপনার শিশুর যত্ন নেয়া

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে নিরাপদ কলের পানি সবসময় পাওয়া যায়। তবে ভূমিকম্প বা অন্যান্য বিপর্যয়ের কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন বড় ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হন। চলতি ধারাবাহিকে আমরা পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করার জন্য আপনাদের কাছে কিছু তথ্য তুলে ধরব। আজ আমরা সীমিত পরিমাণ পানি দিয়ে কীভাবে শিশুর যত্ন নিতে পারবেন, তার উপর আলোকপাত করব।

শিশুর ত্বকে মেটাবোলিজমের হার বেশি থাকায় প্রচুর পরিমাণ ঘাম এবং পানিতে দ্রবীভূত না হওয়া লিপিড নিঃসৃত হয় বলে শিশু সন্তানদের প্রতিদিন গোসল করানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন। তবে পানি সরবরাহ বন্ধকালীন গোসল করানো কঠিন হয়ে গেলে বোতলজাত বাবল বা বুদ্‌বুদ সাবান ব্যবহার করে দেহ আংশিক পরিষ্কার করে নেয়া হচ্ছে কার্যকর একটি সমাধান। সাধারণত, একটি শিশুকে গোসল করানোর জন্য কমপক্ষে ১০ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে পাওয়া সীমিত পরিমাণ পানি ব্যবহার করে পুরো দেহ পরিষ্কার না করে, বরং শিশুর নিতম্ব, মাথা, ঘাড় এবং মুখ ধুয়ে দিয়ে আপনি শিশুকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে প্রথমে আপনার শিশুর মুখ একটি পানি প্রতিরোধ করা চাদর বা তোয়ালের উপর রেখে শিশুকে শুইয়ে দিন। প্রচুর পরিমাণ সাবান ব্যবহার করে উপরে উল্লেখ করা অংশসমূহ সতর্কতার সাথে পরিষ্কার করে নেয়ার আগে গরম পানি ব্যবহার করে শিশুর দেহ পরিষ্কার করে নিন। এরপর ব্যবহৃত সাবান গরম পানি দিয়ে মুছে ফেলুন। একটি তোয়ালে দিয়ে ত্বক শুকিয়ে নেয়ার পর দেহ আর্দ্র রাখার ময়েশ্চারাইজার তাৎক্ষণিকভাবে লাগাতে ভুলবেন না। ফুসকুড়ি দেখা দেয়ার মতো চর্ম রোগ এটা প্রতিরোধ করবে।

এছাড়াও, পানি সরবরাহ বন্ধ থাকার সময় আপনি যখন শিশুর বোতল জীবাণুমুক্ত করতে পারবেন না, সেরকম অবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি না নিয়ে আপনার শিশুকে খাওয়ানোর জন্য কাগজের কাপ ব্যবহার করতে পারেন। আপনার হাত অ্যালকোহল দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন এবং বহনযোগ্য চুলা ব্যবহার করে পানি ফুটিয়ে নিন। কিছু পানি থার্মালপাত্রে রাখুন এবং কিছু মগে রাখুন, যেখানে তা ঠান্ডা হতে পারবে। কাগজের কাপে গরম পানির প্রায় এক তৃতীয়াংশ পরিমাণ শিশুর খাদ্য গুড়ো দুধ গরম পানিতে মিলিয়ে নিন। প্রয়োজনে ঘরের তাপমাত্রার পর্যায়ে ঠান্ডা হয়ে আসা মগের পানি এতে যোগ করুন। শিশুরা প্রায়ই মুখ থেকে দুধ বের করে দেয় বলে স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে একটু বেশি দুধ প্রস্তুত করা নিশ্চিত করুন।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মে মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৫) বর্জ্য পানির উল্টোমুখী প্রবাহ রোধ করা

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে নিরাপদ কলের পানি সবসময় পাওয়া যায়। তবে ভূমিকম্প বা অন্যান্য বিপর্যয়ের কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে লোকজন বড় ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হন। চলতি ধারাবাহিকে আমরা পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করার জন্য আপনাদের কাছে কিছু তথ্য তুলে ধরব। আজ আমরা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় বর্জ্য পানির উল্টোমুখী প্রবাহ রোধের উপায় নিয়ে আলোকপাত করব।

বন্যাকালীন, পানি সরবরাহে বিভ্রাটের পাশাপাশি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বর্জ্য পানির উল্টোমুখী প্রবাহ একটি উদ্বেগের বিষয়। যখন বাড়িঘর প্লাবিত হয়, তখন উল্টোমুখী পানি প্রবাহ ঘটে এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার নোংরা পানি বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়। বাথটাব, টয়লেট এবং ওয়াশিং মেশিনের ড্রেন থেকে নোংরা পানি বাইরে বেড়িয়ে আসলে, পরিষ্কার করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এরফলে জীবাণু এবং ভাইরাস থেকে রোগসংক্রমণ হতে পারে এবং দুর্গন্ধ থেকে যেতে পারে।

এই উল্টোমুখী প্রবাহ রোধে পানির ব্যাগ সহায়ক হতে পারে। আবর্জনা ফেলার বড় ব্যাগ, যা সব পরিবারে হাতের কাছেই থাকে, তার মধ্যে পানি ভরে পানির ব্যাগ তৈরি করা যেতে পারে। একটি আবর্জনার ব্যাগের মধ্যে আরেকটি ব্যাগ ঢুকান এবং তার অর্ধেকটা পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। তারপর ব্যাগের মধ্যে থেকে বাতাস সরিয়ে ব্যাগটি বেঁধে ফেলুন। টয়লেটের বর্জ্য পানির উল্টোমুখী প্রবাহ রোধ করতে, একটি খালি ব্যাগ দিয়ে টয়লেটের কমোডটি ঢেকে দিন এবং তার ওপরে একটি পানির ব্যাগ রাখুন। এটি কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় সরকার দ্বারা সুপারিশকৃত পদ্ধতি।

বন্যার উদ্বেগ থাকলে এই সতর্কতা অবলম্বনের জন্য যত তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি নেওয়া যায় ততই ভাল। যদি টয়লেটের মধ্যে থেকে বুদ্‌বুদের শব্দ শুনতে পান বা খারাপ গন্ধ নাকে আসে, তখন বুঝতে হবে উল্টোমুখী প্রবাহের ঝুঁকি রয়েছে, তাই বিশেষভাবেই সতর্ক হওয়া দরকার। টয়লেট ছাড়াও আপনার বাড়ির অন্যান্য স্থানও পরীক্ষা করুন। আপনার বেসিন, ওয়াশিং মেশিন, রান্নাঘরের বেসিন এবং পানি প্রবাহিত হওয়ার অন্যান্য জায়গায় পানির ব্যাগ রাখুন। এটি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় উল্টোমুখী প্রবাহ রোধে সাহায্য করবে।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মে মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।