দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর

দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবক

(১) দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে মধ্য জাপানের নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। চলতি ধারাবাহিকে আমরা দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা এবং এসংক্রান্ত লক্ষণীয় কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করবো। আজ আমরা দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকার ওপর নজর দেবো।

জাপানে যখনই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকরা তখনই একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। বিনিময়ে কিছু আশা না করেই তারা স্বেচ্ছায় দুর্যোগ কবলিত এলাকার লোকজনকে সহায়তা করেন। অন্যদিকে, বড় আকারের দুর্যোগের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে যায়।

স্বেচ্ছাসেবকরা বিস্তৃত পরিসরে নানা কাজের সাথে জড়িত হন, যার মধ্যে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেয়া, বাড়িঘর পরিষ্কার করা এবং দুর্গতদের মনস্তাত্ত্বিক পরিচর্যা প্রদানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কিছু কিছু কাজ স্বল্প সময়ের মধ্যে করা গেলেও অন্য অনেক কাজের ক্ষেত্রে, দীর্ঘ সময় ধরেই স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোকে সহায়তা দিয়ে যেতে হয়। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সহায়তা দেয়ার জন্য আপনাকে শারীরিকভাবে শক্তিশালী হতেই হবে বা বিশেষ দক্ষতা থাকতেই হবে, এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(২) নোতো উপদ্বীপে দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবমূলক কর্মকাণ্ড

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে মধ্য জাপানের নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। চলতি ধারাবাহিকে আমরা দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা এবং এসংক্রান্ত লক্ষণীয় কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করবো। আজ আমরা নোতো উপদ্বীপে যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড বর্তমানে চলছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলবো।

যখন প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, তখন ইশিকাওয়া জেলা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনপত্র প্রেরণ বিষয়ে লোকজনকে কোন রকম প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করে, কেননা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকা স্বেচ্ছাসেবী গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল না। প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানার ৫ দিন পর, জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে, এই জেলা কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ হোমপেজ তৈরি করে যেখানে স্বেচ্ছাসেবীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে, তখনও এমন কিছু এলাকা ছিল যারা তখনও স্বেচ্ছাসেবী গ্রহণ করার জন্য তৈরি ছিল না। কয়েকটি স্থানীয় সরকার এমনও অনুরোধও জানায় যে, কেবল ঐসব এলাকায় বসবাসরত লোকজনই সাহায্যের জন্য আসতে পারবেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখে সুযু শহরে, ৮ তারিখে নোতো নগরে এবং ১০ তারিখে ওয়াজিমা শহরে স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ড শুরু হয়। ইশিকাওয়া জেলা কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে চাওয়া লোকজনদের আগাম ওয়েবসাইটে নাম নিবন্ধন করা এবং ব্যক্তিগতভাবে কাজ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায়।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৩) স্বেচ্ছাসেবার কাজে কীভাবে অংশগ্রহণ করবেন

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে মধ্য জাপানের নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। চলতি ধারাবাহিকে আমরা দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা এবং এসংক্রান্ত লক্ষণীয় কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করবো। আজ আমরা এধরনের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে কীভাবে অংশ গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে কথা বলবো।

দুর্যোগ পরবর্তী স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকলে, প্রথমেই আপনার যা করা দরকার তা হলো, কোন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের গ্রহণ করছে তা যাচাই করে দেখা। সাধারণত ক্ষতিগ্রস্ত কোনো পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের প্রয়োজন রয়েছে মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকলে, সেখানে একটি দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবী কেন্দ্র সেখানে গড়ে তোলা হয়। পৌরসভা, সমাজ কল্যাণ পরিষদ কিংবা স্বেচ্ছাসেবী কেন্দ্রের নামের মতো কী-ওয়ার্ড টাইপ করে অনলাইনে এই বিষয়ক তথ্য আপনি পেতে পারেন। কোথায় আপনি কাজ করতে চান সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সেইসব তথ্য, বিশেষ করে স্বেচ্ছাসেবী হতে পারার জন্য নির্ধারণ করে নেয়া শর্তাবলী যত্নের সাথে পাঠ করে নিন। স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে তালিকাভুক্ত না হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো এলাকায় যাবেন না। এছাড়া কাজ করার সময় আপনি আঘাত পেলে সেরকম পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবী বিমা গ্রহণ নিশ্চিত করে নিন। আপনার নিজের পৌরসভার সমাজ কল্যাণ পরিষদে আপনি এটি কিনতে পারবেন।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৪) কী ধরনের পোশাক পরিধান করবেন

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে মধ্য জাপানের নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। চলতি ধারাবাহিকে আমরা দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা এবং এসংক্রান্ত লক্ষণীয় কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করবো। আজ আমরা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করার সময় কী ধরনের পোশাক পরতে হবে সেই বিষয়ে কথা বলবো।

ঢিলা ধাঁচের পোশাক পরিধান করতে হবে যাতে করে আপনি সহজেই নড়াচড়া করতে পারেন এবং পোশাক নোংরা হয়ে গেলেও কোন অসুবিধা না হয়। কাটাছেঁড়া এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে লম্বা হাতা রয়েছে এমন জামা, লম্বা প্যান্ট এবং মাথায় টুপি পরবেন। একইসাথে হেলমেট, গ্লাভস এবং রাবারের গ্লাভস প্রস্তুত রাখুন। ঘাম মুছতে তোয়ালের প্রয়োজন হয়ে থাকে। ধূলা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে গগলস, চশমা এবং মুখে মাস্ক পরলে তা যথার্থ হবে।

ভাঙা কাচের টুকরো বা পেরেকের আঘাতে আহত হওয়া প্রতিরোধে খুব মজবুত ধরনের জুতা পরার মাধ্যমে আপনাকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে । নির্মাণকর্মীরা যে ধরনের বুট জুতা পরে থাকে তা পরতে পারেন বা পেরেক জুতার মধ্যে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেধরনের সোল জুতার ভিতর লাগাতে পারেন।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৫) সঙ্গে কী কী জিনিস রাখবেন

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে মধ্য জাপানের নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। চলতি ধারাবাহিকে আমরা দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা এবং এসংক্রান্ত লক্ষণীয় কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করবো। আজ আমরা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশ নেওয়ার সময় কী কী জিনিস সাথে রাখতে হবে সেই বিষয়ে কথা বলবো।

প্রথমত, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার-দাবার ও পানি সঙ্গে নিতে হবে। গ্রীষ্মকালে বেশি পরিমাণে পানি নেবেন এবং এমন খাবার নেবেন যেগুলো চট্‌ করে নষ্ট হয় না। পর্যাপ্ত লবণ যাতে শরীরে যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে যদি এমন কাজে নিযুক্ত থাকেন যেখানে ঘাম হয় বেশি। সাধারণ টিস্যু পেপার এবং জীবাণুনাশক টিস্যু পেপার সঙ্গে নেবেন। আপনার তোয়ালে যদি খুব ময়লা হয়ে যায়, তখন এই জিনিসগুলো কাজে আসবে।

বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে রেইনকোটের মতো জিনিস সঙ্গে রাখাও জরুরি। আঠা লাগানো টেপ, কাঁচি এবং একটা মার্কার পেন সঙ্গে রাখুন, উপকৃত হবেন। এছাড়া কোদাল আর বালতির মতো যেসব জিনিস কাজে নামার পর সাধারণত খুব প্রয়োজন হয়, সেগুলো স্বেচ্ছাসেবক কেন্দ্র থেকে ধার নিতে পারেন।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৬) কিছু পরামর্শ

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে মধ্য জাপানের নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। চলতি ধারাবাহিকে আমরা দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা এবং এসংক্রান্ত লক্ষণীয় কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করবো। আজ আমরা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণকারীদের বিবেচনার জন্য কিছু পরামর্শ তুলে ধরবো।

দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবমূলক কাজ করার সময় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের উপর বোঝা না হয়ে ওঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগে থেকেই আপনার গন্তব্যের এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃতভাবে গবেষণা করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরিবহণ এবং সেখানে থাকার ব্যবস্থা নিজ উদ্যোগেই নিশ্চিত করে নিন। আর আপনি একবার কাজ শুরু করে দিলে, নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখুন এবং হিট স্ট্রোকসহ অন্যান্য পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকুন। কাজের মাঝে ঘন ঘন বিরতি নিন। অসুস্থ বোধ করলে কাজ আপাতত বন্ধ রাখুন। আর আপনি কোনো কাজকে খুব কঠিন বা বিপজ্জনক বলে মনে করলে, সম্ভাব্য আঘাত এড়াতে, সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক কেন্দ্রের সাথে পরামর্শ করতে দ্বিধা করবেন না।

এছাড়া, দুর্যোগ আক্রান্ত এলাকায় বিভিন্ন মর্মপীড়াদায়ক দৃশ্য দেখে আপনার মানসিক চাপ অনুভবের সম্ভাবনাও রয়েছে। সুতরাং, কাজের শেষে যথেষ্ট মানসিক এবং শারীরিক বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না যেন।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৭) দুর্যোগে বেঁচে যাওয়া লোকজনের প্রতি সহানুভূতি

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে মধ্য জাপানের নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর দুই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। চলতি ধারাবাহিকে আমরা দুর্যোগকালীন ত্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা এবং এসংক্রান্ত লক্ষণীয় কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করবো। আজ আমরা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের সামাল দেয়ার সময় কোন কোন ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, সেই বিষয়ে কথা বলবো।

দুর্যোগ পরবর্তী স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য বেঁচে যাওয়া লোকজনদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ এবং শ্রদ্ধাশীল হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কল্পনা করুন, আপনার প্রিয়জন, ঘরবাড়ি বা জিনিসপত্র হারিয়ে গেলে আপনার কতখানি খারাপ লাগবে। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করার সময় এই বিষয়টি সবসময় মনে রাখতে হবে। যেমন: একটি বাড়ি পরিষ্কার করার সময় আসবাবপত্র রাখবেন নাকি ফেলে দেবেন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু এইসব সিদ্ধান্ত একমাত্র মালিকই নিতে পারেন এবং তার জন্য মালিকদের যথেষ্ট সময় দিতে হয়। এছাড়াও, স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড করার সময় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের কাছ থেকে জানতে পারা কোন কিছু নিয়ে কখনই কোন মন্তব্য করবেন না। যতটা পারা যায় তাদের ছবি তোলা থেকে বিরত থাকবেন এবং তা করার জন্য তাদের অনুমতি চাওয়া থেকেও বিরত থাকবেন।

সবশেষে, বেঁচে যাওয়া লোকজনদের সাহায্য করার জন্য উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশ নেয়াই কেবল একমাত্র উপায় নয়। দান করার মাধ্যমেও তাদের আপনি সাহায্য করতে পারেন বা এমনকি পরের দিকে কোন একদিন একজন পর্যটক হিসেবে তাদের পরিদর্শন করেও আপনি সাহায্য করতে পারেন। একটি দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পুনর্গঠন পরিলক্ষিত হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।