দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর

দুর্যোগকালীন নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া সংক্রান্ত পরামর্শ

(১) আশ্রয়কেন্দ্র

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প অনেক লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাদের আশপাশে স্থাপন করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এই ধারাবাহিকে একটি দুর্যোগের পর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ আমরা আপনাদের জানাবো। আজ আমরা আপনাদের আশ্রয়কেন্দ্র সম্বন্ধে তথ্য দিবো।

পৌর সরকারগুলো একটি দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ঘরবাড়ি বা বাস করা নিরাপদ নয় এমন ঘরবাড়ির লোকজনদের স্কুলের জিমনেশিয়াম বা কমিউনিটি হলে অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এমন ঘটনাও বিরল নয় যে, বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে সেখানে থাকতে শুরু করেছেন। আপনারা আপনাদের পৌরসভার সরবরাহ করা দুর্যোগ প্রতিরোধ ম্যাপ বা ওয়েবসাইটে এইসব আশ্রয়কেন্দ্রের অবস্থান খুঁজে পেতে পারেন।

খাদ্য, কম্বল এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বিতরণ করবে, যাতে করে সেখানে আশ্রয়গ্রহণকারীরা দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারেন। তবে, যারা তাদের গাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারাও চাইলে খাদ্য এবং অন্যান্য জিনিসপত্র এইসব কেন্দ্র থেকে পেতে পারেন।

প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নিজস্ব নীতি রয়েছে। সেখানে অবস্থানকালীন প্রত্যেকের আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মীদের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে। খাবার গ্রহণ এবং টয়লেট ব্যবহারের সময়ে নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনি লাইনের শেষে দাঁড়িয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন প্রত্যেকে প্রত্যেককে সাহায্য করবেন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই তথ্যসমূহ ২০২৪ সালের জানুয়ারির ১৬ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(২) হাইপোথার্মিয়া

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প অনেক লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাদের আশপাশে স্থাপন করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এই ধারাবাহিকে একটি দুর্যোগের পর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ আমরা আপনাদের জানাবো। আজ আমরা শীতকালের হিমেল আবহাওয়ায় হাইপোথার্মিয়া এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে পরামর্শ দেব।

শীতকালে আশ্রয় নেয়ার সময় হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে আপনার সচেতন থাকা দরকার। স্কুলের জিমনেসিয়ামের মতো আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রায়শই পর্যাপ্ত উত্তপ্ত রাখার যন্ত্রে সজ্জিত নয়।

হাইপোথার্মিয়া দেহে কম্পন জাগায় এবং সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় প্রাণঘাতি হতে পারে। কয়েক স্তরের শীতের কাপড় পরে নিয়ে এবং প্রয়োজনে জ্যাকেটের ভেতরে খবরের কাগজের স্তর ভরে নিয়ে উত্তপ্ত থাকার চেষ্টা আপনাকে করতে হবে। এছাড়া কম্বল মুড়ি দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখাও কার্যকর হয়ে থাকে। দেহের উত্তাপ হ্রাস পাওয়া বন্ধ করার জন্য মেঝেতে একটি কম্বল কিংবা কার্ডবোর্ড বিছিয়ে নিন। দেহ ভেতর থেকে উত্তপ্ত রাখার জন্য গরম পানি কিংবা অন্যান্য পানীয় পান করা হচ্ছে একটি ভাল ধারণা। গরম পানি ভরে নেয়া প্লাস্টিকের বোতল এবং একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়ার মতো হাত গরম রাখার সামগ্রীও উপকারী হয়ে থাকে। বয়স্ক লোকজনের জন্য দেহের তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখা কঠিন হওয়ায়, তারা প্রায়শই হাইপোথার্মিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে গণ্য। তাই, বয়স্কদের হাইপোথার্মিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে তাদের দেহ দ্রুত উত্তপ্ত করার ব্যবস্থা নিন এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৪ সালের জানুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৩) ইকোনমি ক্লাস সিনড্রোম

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প অনেক লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাদের আশপাশে স্থাপন করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এই ধারাবাহিকে একটি দুর্যোগের পর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ আমরা আপনাদের জানাবো। আজ আমরা তথাকথিত “ইকোনমি ক্লাস সিনড্রোম” এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে পরামর্শ দেব।

রক্ত চলাচল মন্থর হয়ে পড়লে রক্ত জমাট বেঁধে ফুসফুসের রক্তনালী বন্ধ হবার প্রবণতা থেকে ইকোনমি ক্লাস সিনড্রোম দেখা দেয়। এই সিনড্রোমের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যাথা ও শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট এবং কখনো কখনো এটি প্রাণঘাতিও হতে পারে। আশ্রয়কেন্দ্র বা গাড়িতে আশ্রয়কালীন লোকজন দীর্ঘ সময় ধরে নড়াচড়া বন্ধ করে একই স্থানে বসে থাকেন, যার ফলে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তবে, প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে এই রোগ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। নিয়মিত ভাবে হাত পা নাড়ান এবং হালকাভাবে পায়ের মাংসপেশির ম্যাসাজ করুন। তার সাথে ঘন ঘন কিছু পানীয় গ্রহণ করুন। দিনের বেলা ঘরের বাইরে গিয়ে শরীরচর্চা করলেও উপকার পাবেন। বুকে ব্যাথা বা শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে চারিপাশের লোকজনের কাছে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।

এই তথ্যসমূহ ২০২৪ সালের জানুয়ারির ১৮ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৪) কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প অনেক লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাদের আশপাশে স্থাপন করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এই ধারাবাহিকে একটি দুর্যোগের পর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ আমরা আপনাদের জানাবো। আজ আমরা কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে জানাবো।

আশ্রয় কেন্দ্রের মতো জায়গা গরম করার জন্য ঘরের ভেতরে যদি কাঠকয়লার উনান জ্বালানো হয় অথবা বহনযোগ্য বিদ্যুৎ জেনারেটর ব্যবহার করা হয়, তাতে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়ে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। কার্বন মনোক্সাইডের কোনো রং নেই, কোনো গন্ধও নেই। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই গ্যাস অনবরত শরীরে প্রবেশ করলে মাথা ব্যথা হয় এবং বমি-বমি ভাব হয়। এই বিষক্রিয়ায় লোকেরা সংজ্ঞা হারাতে পারে, এমনকি শেষ পর্যন্ত তাদের মৃত্যুও হতে পারে। তাই বন্ধ ঘরের ভেতরে কখনো এমন জ্বালানি ব্যবহার করা উচিত না, যা থেকে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়।

দুর্যোগের পর নিরাপত্তার জন্য গাড়ির মধ্যে দিন কাটাতে হলে, তখনও কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। আপনার গাড়ি যদি গ্যাস চালিত হয়, কখনো গ্যারাজের ভেতরে থাকা অবস্থায় সেই গাড়ির ইঞ্জিন চালিয়ে রাখবেন না। গাড়ি খোলা আকাশের তলায় থাকলে এবং তুষারপাত হলে, গাড়ির গ্যাস নির্গমণ পাইপ যেন তুষারে ঢাকা পড়ে না যায়, সেটা নিশ্চিত করে নেবেন। দুটি ক্ষেত্রেই গাড়ি থেকে নিঃসৃত গ্যাস গাড়ির ভেতরে ঢুকে গিয়ে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।

এই তথ্যসমূহ ২০২৪ সালের জানুয়ারির ১৯ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৫) সংক্রমণ প্রতিরোধ

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প অনেক লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাদের আশপাশে স্থাপন করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এই ধারাবাহিকে একটি দুর্যোগের পর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ আমরা আপনাদের জানাবো। আজ আমরা সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ দিবো।

আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে একসাথে অনেক লোকজন আশ্রয় নেয়ার কারণে প্রায়শই অতিরিক্ত ভিড়ের প্রবণতা দেখা যায়। তবে সেখানে যথাযথ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানি বা জীবাণুনাশক অ্যালকোহল পর্যাপ্ত পরিমাণে নাও থাকতে পারে।

যেহেতু এই ধরনের পরিবেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা, গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস বা কোভিড-১৯’এর সংক্রমণ সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, তাই গুচ্ছ সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে।

একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের ভাষ্যানুযায়ী, “খাওয়ার আগে এবং শৌচাগার ব্যবহারের পরে হাত ধোয়া নিশ্চিত করলে তা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সহায়তা করে। তবে পর্যাপ্ত পানি বা জীবাণুনাশক না থাকলে, ভেজা স্যানিটাইজিং পেপার বা অল্প পরিমাণ পানি অথবা গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে ভেজা টিস্যু দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিলে, তা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকর হতে পারে।”

কারো জ্বর বা কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, তখন সংক্রমণের বিস্তার রোধে মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি অন্যদের থেকে আলাদা একটি কক্ষে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। ওই বিশেষজ্ঞ এটিও বলছেন যে, আপনি কখনও অসুস্থ বোধ করলে, আপনার আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে দ্বিধা বোধ করা উচিত নয়।

এই তথ্যসমূহ ২০২৪ সালের জানুয়ারির ২২ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৬) অপরাধ নিবারণ

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প অনেক লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাদের আশপাশে স্থাপন করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এই ধারাবাহিকে একটি দুর্যোগের পর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ আমরা আপনাদের জানাবো। আজ আমরা সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ দিবো। আজ আমরা আপনাকে দুর্যোগ পরবর্তী বিভ্রান্তির মধ্যে সংঘটিত সম্ভাব্য অপরাধ এড়াতে কিছু পরামর্শ দিবো।

দুর্যোগ আক্রান্ত এলাকায় একটি শীর্ষ উদ্বেগ হিসেবে প্রায়ই চুরির কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। অধিবাসীরা যেহেতু আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে থাকেন, তাই চোরেরা তাদের ঘরবাড়ি বা দোকানে ঢুকে পড়তে পারে এবং নগদ অর্থ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করতে পারে। অতীতের দুর্যোগগুলোর সময়ে ঘটা এধরনের অপরাধের কথা প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়। মূলত, ভূমিকম্প আক্রান্ত এলাকায় পুলিশ ‌এসময়ে টহল দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় এবং অনুসন্ধান অভিযানও বেড়ে যায়।

আশ্রয়কেন্দ্রে বিভিন্ন জিনিসের চুরির ঘটনার দিকেও নজর দেয়া উচিত। আশ্রয় গ্রহণকারীদের সবসময় তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র তাদের সাথে রাখতে বা সেদিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।

আশ্রয় গ্রহণকারীরা প্রতারণার শিকারও হতে পারেন। অতীতের দুর্যোগগুলোর সময়ে, প্রতারণাকারীরা ভুক্তভোগীদের বিদ্বেষপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করানো বা তাদের কাছ থেকে ছলচাতুরী করে অর্থ নিয়ে নেয়ার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া যৌন অপরাধের বিরুদ্ধেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অতীতে, আশ্রয়কেন্দ্রে নারীরা অনিচ্ছাকৃত শরীর স্পর্শ করার মতো ঘটনার শিকার হয়েছেন বা যৌন কার্যকলাপে নিয়োজিত হতে বাধ্য হয়েছেন। গোসলের ঘর বা অন্যান্য অন্ধকারময় স্থানে নারী ও শিশুদের একা না রাখার ব্যাপারে নজর রাখাটাও অপরিহার্য।

এই তথ্যসমূহ ২০২৪ সালের জানুয়ারির ২৩ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৭) জীবনযাত্রার পুনর্নির্মাণে সহায়ক ব্যবস্থা

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। নববর্ষের দিনে নোতো উপদ্বীপে আঘাত হানা শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প অনেক লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে তাদের আশপাশে স্থাপন করা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এই ধারাবাহিকে একটি দুর্যোগের পর আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ আমরা আপনাদের জানাবো। আজ আমরা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের জীবনযাত্রা পুনরায় গড়ে নিতে সহায়তা করার জন্য নির্ধারিত সহায়ক ব্যবস্থার দিকে নজর দিব।

আপনার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনি যখন সরকারি সাহায্য পেতে চাইবেন, সেরকম অবস্থায় প্রথমেই আপনাকে জাপানি ভাষায় “রিসাই শোমেইশো” নামে পরিচিত “দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সনদ” পেতে হবে। পৌরসভার দেয়া এই সনদ আপনি যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা প্রমাণিত করবে। তাই, আপনাকে অবশ্যই এই সনদের জন্য আবেদন করতে হবে এবং পৌরসভা কর্তৃক আপনার ক্ষতির পরিমান যাচাই ও নির্ধারণকৃত হতে হবে। এই সনদের ফলে যে সহায়তাগুলো আপনি পেতে পারবেন তার অন্যতম হলো “দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে জীবনযাত্রা পুনরায় গড়ে তোলার জন্য অনুদান সহায়তা।”

পৌরসভার চালানো জরিপের ফলাফলে আপনার বাড়ি “পুরোপুরি বিধ্বস্ত” হয়েছে কিংবা দীর্ঘ সময়ের জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরার মতো বিপজ্জনক রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে হলে দশ লক্ষ ইয়েনের অনুদান সাহায্য আপনাকে দেয়া হবে।

এছাড়া বসবাসকারীদের বাড়ির ছাদ, রান্নাঘর, শৌচাগার ও দৈনন্দিন জীবনের জন্য আবশ্যকীয় হিসাবে গণ্য বাড়ির অন্যান্য অংশ মেরামত করে নেয়ার জন্যেও জরুরি একটি মেরামত ভর্তুকি ব্যবস্থা রয়েছে। যেসব পরিবারের বাড়িঘর “আংশিক ক্ষতি হওয়ার পর্যায়ে” কিংবা আরও খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা ৭ লক্ষ ৬ হাজার ইয়েন বা প্রায় ৪ হাজার ৭৬০ ডলার ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন।

বাড়ির ক্ষতি যাদের হয়েছে সেরকম লোকজনের জন্য জরুরি ঋণ, ও সেই সাথে বাড়ি কেনার ঋণ পরিশোধে সহায়তা করা ও ঋণ মওকুফ করে দেয়ার মতো অন্যান্য ত্রাণ সাহায্য ব্যবস্থাও কার্যকর রয়েছে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে পৌরসভার বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত ইন্টারনেট ওয়েব সাইট ও অন্যান্য সূত্রসমূহ দেখে নিন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৪ সালের জানুয়ারির ২৪ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।