দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর

তাইফুন এগিয়ে আসার সময় জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপ

(১) তাইফুন আঘাত হানার ২-৩ দিন আগে (১)

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে তাইফুনের মৌসুম শুরু হওয়ায় প্রবল বৃষ্টি এবং প্রচণ্ড বাতাস’সহ ধেয়ে আসা তাইফুনে মানুষের জীবন রক্ষায় কী করা উচিত, সেই বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হবে আমাদের নতুন এই ধারাবাহিকে। মূলত, ২০১৯ সালে তাইফুন হাগিবিসের কারণে হওয়া হতাহতের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে এসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর উপর আমরা নজর দিব। ধারাবাহিকের প্রথম পর্বে, তাইফুন আগমনের দুই থেকে তিন দিন আগে যে প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে, তার উপর আলোকপাত করা হবে।

তাইফুন হাগিবিসের সময় পানি বা কাদাধ্বস সংশ্লিষ্ট দুর্যোগে মোট ৭৯ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৫২ জনের মৃত্যু হয় এমন কিছু এলাকায় যেগুলোকে দুর্যোগ সংক্রান্ত ঝুঁকির মানচিত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল। দুর্যোগের সময় ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত স্থানগুলো সাধারণত স্থানীয় ঝুঁকির মানচিত্রে চিহ্নিত করা থাকে। আপনার এলাকার দুর্যোগ ঝুঁকির মানচিত্র অনলাইনে দেখা সম্ভব, তবে অতীতে তাইফুন ধেয়ে আসার সময় অনেক পৌরসভার ওয়েবসাইটগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং এরফলে অনেকেই এগুলোতে প্রবেশ করতে পারেননি। তাই আপনি আগে থেকেই এই সাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রিন্ট করে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।

আবার, ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত এলাকার বাইরে অন্যান্য স্থানও বিপদসংকুল হতে পারে। তাইফুন হাগিবিসের সময়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাইরেও পানি সংক্রান্ত দুর্যোগে ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল নিচু এলাকায়। উল্লেখ্য, এধরনের এলাকা বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর পানি উপচে প্লাবিত হতে পারে। তাই আপনার বাড়ির উচ্চতা পরীক্ষা করুন এবং এটিকে অদূরস্থ নদীর বাঁধ বা সেতুর উচ্চতার সঙ্গে তুলনা করুন। যদি আপনার বাড়ি, বাঁধ এবং সেতু প্রায় একই স্তরে থাকে, তাহলে আপনার বাড়ি প্লাবিত হতে পারে।

এই তথ্যগুলো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(২) তাইফুন আঘাত হানার ২-৩ দিন আগে (২)

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে তাইফুনের মৌসুম শুরু হওয়ায় প্রবল বৃষ্টি এবং প্রচণ্ড বাতাস’সহ ধেয়ে আসা তাইফুনে মানুষের জীবন রক্ষায় কী করা উচিত, সেই বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হবে আমাদের নতুন এই ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বে, তাইফুন আগমনের দুই থেকে তিন দিন আগে যে প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে, তার উপর আলোকপাত করা হবে।

যখন একটি তাইফুনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে তখন আপনাকে অবশ্যই নিদেনপক্ষে ৩ দিনের খাদ্য এবং পানি মজুত করতে হবে। যেহেতু জরুরি খাদ্য দ্রব্যগুলোতে উচ্চ কার্বোহাইড্রেট থাকার প্রবণতা বেশি, তাই টিনজাত খাদ্য এবং সবজির জুস মজুত করার সুপারিশ করা হয়ে থাকে। যাতে করে আপনারা মাংস, মাছ ও সবজি থেকে অন্যান্য পুষ্টি গ্রহণ করতে পারেন।

কী কী ধরনের পানীয় মজুত করতে হবে সে প্রসঙ্গে, চা এবং কোমল পানীয়’সহ পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরিমাণ অন্যান্য তরল পানীয়ও মজুত করে রাখা শ্রেয়। এছাড়া আপনারা ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত পান করার মেয়াদ থাকা পানিও মজুত করে রাখতে পারেন। ছোট শিশু থাকা পরিবারগুলোর জন্য, শিশুদের খাবার এবং তরল দুধ যেগুলো খাওয়ার সময় গরম করা বা কোনরকম প্রস্তুতি নেয়ার দরকার পড়ে না সেগুলোও মজুত করে রাখা দরকার।

ফ্লাশলাইট এবং বহনযোগ্য রেডিও কাজ করছে কী না তা পরীক্ষা করে নিন। দুর্যোগের তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ডাউনলোড করে রাখাটাও সমীচীন। অ্যালকালাইন ব্যাটারি-চালিত মোবাইল ফোনের চার্জারও সাথে রাখাটা শ্রেয়, কেননা আমরা প্রায়ই দেখতে পাই যে, সীমিত সংখ্যক বৈদ্যুতিক সকেটের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নিজেদের ফোন চার্জ দেয়ার জন্য লোকজন লম্বা লাইনের সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

এবং সবশেষে, প্রচণ্ড বাতাসে উড়ে গিয়ে অন্যদের আহত করা রোধ করার জন্য ছাতা, ধোয়া কাপড় শুকানোর খুঁটির মতো যেসব জিনিস সাধারণত আপনাদের ঘরের বাইরে রাখা থাকে, সেগুলো সব ঘরের ভিতরে নিয়ে আসার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এই তথ্যগুলো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৩) তাইফুন এগিয়ে আসার একদিন আগে

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে তাইফুনের মৌসুম শুরু হওয়ায় প্রবল বৃষ্টি এবং প্রচণ্ড বাতাস’সহ ধেয়ে আসা তাইফুনে মানুষের জীবন রক্ষায় কী করা উচিত, এই ধারাবাহিকে আপনাদের সামনে আমরা তা তুলে ধরছি। ২০১৯ সালে আঘাত হানা তাইফুন হাগিবিসের হতাহতের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের উপর আমরা আলোকপাত করব। ধারাবাহিকের তৃতীয় পর্বে আমরা তাইফুন এগিয়ে আসার একদিন আগে আপনার কী করা দরকার সেদিকে নজর দিচ্ছি।

তাইফুন এগিয়ে আসতে থাকা অবস্থায় রেল সেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং বৃষ্টি ও বাতাসের বেগ বৃদ্ধি পেতে থাকা অবস্থায় সতর্কতা ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হতে পারে। সেরকম অবস্থায় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে আবশ্যকীয়।

আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও স্থানীয় সরকার সমূহের প্রচারিত সর্বশেষ তথ্য যাচাই করে নিন। দুর্যোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত অ্যাপস এবং টেলিভিশন সম্প্রচারের উপাত্ত ব্যবহার করে, অথবা টিভি রিমোটের “ডি বোতামে” চাপ দিয়ে সক্রিয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে নেয়ার উপদেশ জনগণকে দেয়া হচ্ছে।

আপনার যেখানে বসবাস সেখানকার পৌর কর্তৃপক্ষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার আদেশ দিলে সেটা হবে সরে যাওয়ার সময়। মনে করবেন না যে আপনি এখনও নিরাপদে আছেন; দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। চারদিকের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে আসার আগে সময় থাকা অবস্থায় সরে যাওয়া হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারী বর্ষণে নদী প্লাবিত হলে এমন কি গাড়িও বন্যার পানিতে সহজেই ভেসে যেতে পারে।

বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধী লোকজন সহ সরে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় যাদের দরকার, সেরকম লোকজনের জন্য সরে যাওয়ার সতর্কতা প্রচারিত হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব এদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। জনগণকে এছাড়া নিজেদের এলাকায় কারও সাহায্যের দরকার কিনা তা দেখার জন্যেও উপদেশ দেয়া হচ্ছে।

আপনি বাড়িতে থাকলে সেই রাতে দ্বিতীয় তলায় কিংবা আরও উঁচুতে ঘুমাবেন। ২০১৯ সালে তাইফুন হাগিবিস আঘাত হানার সময় বন্যায় প্রাণ হারানো ২১ জনের মধ্যে ১২ জন দোতলা বাড়ির নিচ তলায় অবস্থান করছিলেন। দোতলা কিংবা আরও উঁচুতে থাকলে তারা হয়তো বেঁচে যেতেন।

বন্যা শুরু হয়ে যাওয়ার পর এবং আসবাবপত্র ভাসমান থাকা অবস্থায় বৃদ্ধদের জন্য দোতলা কিংবা আরও উঁচুতে যাওয়া কঠিন হয়ে থাকে। সরে যাওয়ার জন্য সময় বেশি লেগে যাওয়া অবস্থায় উঁচু খাড়া পাহাড় কিংবা ঢালের থেকে যতটা সম্ভব দূরে দোতলা অথবা আরও উঁচুতে অবস্থিত কোন ঘরে রাতে শয্যা গ্রহণের উপদেশ লোকজনকে দেয়া হচ্ছে।

এই তথ্যগুলো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(৪) তাইফুন আপনার এলাকার কাছাকাছি এগিয়ে এলে (১)

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। এই ধারাবাহিকে আমরা ২০১৯ সালে আঘাত হানা তাইফুন হাগিবিসের হতাহতের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে নিজেদের জীবন বাঁচাতে আপনাদের কী করণীয় সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। এবারে তাইফুন আপনার এলাকার কাছাকাছি এগিয়ে এলে আপনার কী করা উচিত তার উপর আমরা আলোকপাত করব।

তাইফুন এগিয়ে আসার সময় বৃষ্টি ও বাতাস আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং কয়েকটি রাস্তা প্লাবিত হয়ে যেতে পারে। বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হতে পারে এবং ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ও কাদাধ্বস এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনাও আছে। সে ধরনের পরিস্থিতিতে বাইরে যাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। ২০১৯ সালে আঘাত হানা তাইফুন হাগিবিসের কারণে মারা যাওয়া ৯২ জনের মধ্যে ৫৭ জন ঘরের বাইরে ছিলেন। কোন এক কারণে বাড়ির বাইরে থাকার সময় তাদের প্রাণহানি ঘটে। বাড়ির ভিতরে থাকলে এদের মধ্যে কয়েকজন প্রাণে বেঁচে যেতে পারতেন। বৃষ্টি এবং বাতাস জোরালো হয়ে উঠলে বাড়ির বাইরে যাওয়াটা অত্যন্ত বিপজ্জনক, অনুগ্রহ করে এটি মনে রাখবেন।

গাড়ি করে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়াটাও খুবই বিপজ্জনক। তাইফুন হাগিবিসে বাড়ির বাইরে প্রাণ হারানো ৫৭ জনের মধ্যে ২৩ জন বা প্রায় অর্ধেক সংখ্যক গাড়ির ভিতরে প্রাণ হারান। কয়েকটি গাড়ি পানিতে ভেসে যায় বা গর্তে পড়ে যায় কেননা পানির কারণে রাস্তা ঠিক করে বোঝাটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। পানি অতটা গভীর মনে না হলেও খুব সহজেই গাড়ি ভেসে যেতে পারে। প্লাবিত এলাকায় গাড়ি চালানো এড়িয়ে যাবেন।

এই তথ্যগুলো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

 (৫) তাইফুন আপনার এলাকার কাছাকাছি এগিয়ে এলে (২)

এনএইচকে দুর্যোগ প্রশমন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। চলতি ধারাবাহিকে আমরা ২০১৯ সালে তাইফুন হাগিবিসের আঘাতে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল, সেদিকে ফিরে তাকানোর চেষ্টা করছি এবং জীবন রক্ষার জন্য যা করণীয়, সে সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাইফুন যদি আপনার এলাকার কাছাকাছি চলে আসে তখন নিজের সুরক্ষার জন্য কী করা উচিত? এবারের আলোচনায় এই বিষয়টির ওপর আলোকপাত করা হবে।

২০১৯ সালে তাইফুন হাগিবিস কর্মস্থল বা গৃহ অভিমুখী ১৩ জন ব্যক্তির প্রাণ কেড়ে নেয়। তাইফুনের সময় বাইরে থাকার জন্য যারা নিহত হন, তাদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ ব্যক্তি তখন বাইরে ছিলেন কাজের সাথে সম্পর্কিত কোনও কারণে। বাইরে অবস্থানকালে তাইফুনের শিকার হওয়ার ঘটনা বিশেষভাবেই বেশি ঘটেছে গ্রামাঞ্চলে যেখানে কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য বহু লোক গাড়ি ব্যবহার করেন। শিযুওকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত সমন্বিত গবেষণা ও শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যাপক উশিইয়ামা মোতোইউকি এই তাইফুনের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি বলেন, কোম্পানিসমূহের উচিত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কর্মীদের কাজে আসতে অথবা কর্মস্থল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হতে বারণ করা। তিনি কর্মীদেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন তাইফুনের সময় বাড়ি বা কর্মস্থল ত্যাগ করার আগে দু-বার ভেবে দেখেন কখন বাইরে পা রাখা সমীচীন হবে এবং নিরাপদ বুঝলে তবেই যেন বাইরে যান।

উশিইয়ামা পরামর্শ দিয়েছেন, বাইরে পা রাখা বিপজ্জনক হলে বাড়ির দোতলা বা আরও ওপরের তলার এমন কোনও ঘরে আশ্রয় নেওয়া উচিত হবেনা যে ঘর ঢালু জায়গা বা পাহাড়ের ধারে অবস্থিত। কাছেপিঠে শক্তপোক্ত উঁচু ভবন থাকলে, তার ওপরের দিকের কোনও তলায় গিয়ে আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরে অসুবিধা থাকলে, যেখানে আছি সেখানেই যতটা সম্ভব কম ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় চলে যাওয়া উচিত যাতে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলা যায়।

তাইফুনের হাত থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আগেভাগে ঝুঁকির বিষয়টি অনুমান করে, মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা। তবে তাইফুন হাগিবিস আমাদের একটি কঠিন শিক্ষা দিয়েছে। তা হলো, প্রকৃতির মেজাজ বোঝা অনেক সময় আমাদের সাধ্যের বাইরে। একথা মনে রেখে আমাদের উচিত, যে যেখানে বাস করি সেই জায়গা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের প্রাত্যহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। তাইফুন আঘাত হানলেও বাড়ির কোনও ক্ষতি করতে পারবে না, সেই বিশ্বাস আপনার থাকতে পারে। তবে সমীচীন হলো, এও ভেবে রাখা যে কাছেপিঠের কোনও নদী থেকে যদি বন্যা হয় বা ঢালু জায়গা থেকে ভূমিধ্বস হয়, তখন কীভাবে সেই বিপদ সামাল দেবেন।

এই তথ্যগুলো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।