স্কুলে ভর্তি প্রশ্নোত্তর

কানসাই অঞ্চলের ছয়টি জেলার পরিস্থিতি

(১) ওসাকা জেলা ১

জাপান সরকারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এদেশে বসবাসকারী ৮,০০০-এরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই অবস্থায় উদ্বেগের বিষয় হলো স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ না করলে এর নেতিবাচক প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে পারে। যেমন: এক্ষেত্রে শিশুরা হয়তো জাপানি ভাষা শেখার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে না, সেই সাথে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এবং চাকরি পেতে অসুবিধা হতে পারে। কিছু বিদেশি বাসিন্দা জানেন না যে তাদের সন্তানরা জাপানি শিশুদের মতোই সরকারি প্রাথমিক ও জুনিয়র হাই স্কুলে বিনামূল্যে পড়তে পারে।

এনএইচকে বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে, যাতে এধরনের সকল শিশুর স্কুলে গিয়ে শিক্ষা লাভ নিশ্চিত করা যায়। চলতি ধারাবাহিকে আমরা কানসাই অঞ্চলের ছয়টি জেলার বিদেশি শিশুদের স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করার জন্য তথ্য প্রদান করছি। উল্লেখ্য, স্কুলে না যাওয়া বিদেশি শিশুদের মধ্যে ১৭.৯ শতাংশ শিশু এই অঞ্চলে বসবাস করে। আজ আমরা ওসাকা জেলা নিয়ে আলোচনা করব।

এই জেলায় ১,৩০৪ জন বিদেশি শিশু স্কুলে যায় না। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত এধরনের বিদেশি শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ১,১৫৫ জন শিশু বাস করতো ওসাকা শহরে। দ্বিতীয় স্থানে সাকাই শহর। সেখানে স্কুলে না যাওয়া বিদেশি শিশুর সংখ্যা ৩০ জন, এরপর হিগাশিওসাকা শহর, যেখানে এদের সংখ্যা ২৮ জন।

ওসাকা ফাউন্ডেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জের অধীনস্থ বিদেশি বাসিন্দাদের জন্য ওসাকা তথ্য পরিষেবা, শিক্ষাসহ বিস্তৃত বিষয়ে বহুভাষিক তথ্য এবং পরামর্শ প্রদান করে। ফাউন্ডেশন বলছে, এই জেলার বিদেশি বাসিন্দারা স্কুলে ভর্তির বিষয়ে পরামর্শের জন্য স্থানীয় পৌরসভাগুলোর শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করলে, তারা তিন পক্ষের মধ্যে ফোন কলের মাধ্যমে সহায়তা দেবে। ১১টি ভাষায় পরামর্শদানের ব্যবস্থা এখানে আছে। ভাষাগুলো হলো: ইংরেজি, চীনা, কোরিয়ান, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ভিয়েতনামি, ফিলিপিনো, থাই, ইন্দোনেশিয়ান, নেপালি এবং জাপানি। টেলিফোন নম্বর হচ্ছে: ০৬-৬৯৪১-২২৯৭। ফাউন্ডেশন বলেছে যে, পরামর্শের জন্য আবেদনকারীদের তাদের ওয়েবসাইট থেকে দিন এবং সময় জেনে নিতে হবে।

আপনি যদি ওসাকা শহরের বাসিন্দা হন, অনুগ্রহ করে আপনি যেখানে থাকেন সেখানকার ওয়ার্ড অফিসে ফোন করুন এবং পরিবার নিবন্ধন বিভাগ বা কাউন্টার সার্ভিস ডিভিশনের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে অনুরোধ করুন। এখানে পরামর্শ প্রধানত জাপানি ভাষায় দেয়া হয়।

আপনি যদি জাপানি ভাষায় আপনার দক্ষতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী না হন, সেক্ষেত্রে ওসাকা ইন্টারন্যাশনাল হাউস ফাউন্ডেশনে বিদেশি বাসিন্দাদের জন্য তথ্য কাউন্টারে যোগাযোগ করুন। এখানে পরামর্শ ইংরেজি, চীনা, কোরিয়ান, ভিয়েতনামি, ফিলিপিনো এবং জাপানি ভাষায় দেওয়া হয়। অন্যান্য ভাষার জন্য কাউন্টারে মেশিন অনুবাদের ব্যবস্থা আছে। টেলিফোন নম্বর হচ্ছে: ০৬-৬৭৭৩-৬৫৩৩ । আপনি সরাসরি কাউন্টারে যেতে পারেন বা ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রতিটি ভাষার জন্য কোন দিন ও সময় নির্ধারিত, তা ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিন।

আপনি যদি সাকাই শহরের বাসিন্দা হন এবং আপনার জাপানি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে শহরের ওয়েবসাইট দেখুন এবং আপনি যে ওয়ার্ডে থাকেন সেখানকার পরিকল্পনা ও জেনারেল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন বা জেনারেল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন অথবা ওয়ার্ড প্রশাসন প্রচারণা বিভাগের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি আপনার জাপানি ভাষায় দক্ষতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী না হন, সেক্ষত্রে অনুগ্রহ করে প্লাজা অফ মাল্টিকালচারাল এক্সচেঞ্জ সাকাইয়ের সাথে যোগাযোগ করুন। এখানে মেশিন অনুবাদের সাহায্যে এবং তিন পক্ষের মধ্যে ফোনের মাধ্যমে পরামর্শ সেবা পাওয়া যায়। টেলিফোন নম্বর হলো: ০৭২-৩৪০-১০৯০ । কোন দিন, কোন সময়ে, কোন ভাষায় পরামর্শ পাওয়া যাবে তা জানতে ওয়েবসাইট দেখুন।

পরবর্তী পর্বে আমরা ওসাকা জেলাসংশ্লিষ্ট পরামর্শ দানের অন্যান্য সাইট সম্পর্কে তথ্য প্রদান করব।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের ৩রা জুন পর্যন্ত নেয়া।

(২) ওসাকা জেলা ২

জাপান সরকারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এদেশে বসবাসকারী ৮,০০০-এরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এবিষয়ে আজ আমরা আবারও কানসাই অঞ্চলের ছয়টি জেলার অন্যতম ওসাকা জেলার পরিস্থিতির নিয়ে আলোচনা করব।

হিগাশি ওসাকা শহরের বিদেশি বাসিন্দারা যদি জাপানি ভাষায় ভালোভাবে কথা বলতে পারেন, তবে তাদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে পরামর্শের জন্য শহরের শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৬-৪৩০৯-৩২৭১। যাদের জাপানি ভাষায় পর্যাপ্ত দক্ষতা নেই তারা শহরের মাল্টিকালচারাল ইনফরমেশন প্লাজায় গিয়ে পরামর্শ নিতে পারেন। সেখানে ইংরেজি, কোরিয়ান, চীনা এবং ভিয়েতনামি ভাষায় পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। অন্যান্য ভাষাভাষীদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনুবাদ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্লাজার যোগাযোগ নম্বর হলো: ০৬-৪৩০৯-৩৩১১।

ওসাকা শহরের চুও ওয়ার্ডের শিমানোউচি এলাকায় মিনামি কোদোমো কিয়োশিৎসু নামের একটি গ্রুপ বিদেশি শিশুদের পড়াশোনায় সাহায্য করে এবং স্কুলে ভর্তি ও শিক্ষার বিষয়ে পিতামাতাদের ফিলিপিনো এবং চীনা ভাষায় পরামর্শ প্রদান করে। তবে গ্রুপটি জানায়, অন্য ভাষার লোকেরা পরামর্শ নেওয়ার জন্য আগাম যোগাযোগ করলে দোভাষীর ব্যবস্থা করার যথাসাধ্য চেষ্টা তারা করবে। এই গ্রুপের সাথে যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৬-৬৭১১-৭৬০১।

দ্যা অ্যাসোসিয়েশন ফর তোইয়োনাকা মাল্টিকালচারাল সিমবায়োসিস, তোইয়োনাকা শহর এবং অন্যান্য এলাকায় বসবাসকারী বিদেশি বাসিন্দাদের পরামর্শ সেবা প্রদান করে। ১১টি ভাষায় এই সেবা দেয়া হয়। ভাষাগুলো হলো: জাপানি, চীনা, কোরিয়ান, ফিলিপিনো, থাই, ইংরেজি, ইন্দোনেশিয়ান, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ভিয়েতনামি এবং নেপালি। এই পরামর্শ সেবা সরাসরি অথবা টেলিফোনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৬-৬৮৪৩-৪৩৪৩ । তোইয়োনাকা শহরের বাইরে বসবাসকারী বিদেশি বাসিন্দাদেরও এই সেবা দেওয়া হয়৷

দ্যা মিনোহ অ্যাসোসিয়েশন ফর গ্লোবাল অ্যাওয়ারনেস, মিনোহ শহরের বিদেশি বাসিন্দাদের স্কুলে ভর্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে। পরিষেবাটি জাপানি, ইংরেজি, চীনা, কোরিয়ান এবং পর্তুগিজ ভাষায় পাওয়া যায়। সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন যে, সপ্তাহের দিনের উপর নির্ভর করে অন্যান্য ভাষায়ও পরামর্শ দেওয়া হয়। তারা এই সকল ভাষার লোকেদের আরও তথ্যের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। সংস্থাটির ফোন নম্বর হলো: ০৭২-৭২৭- ৬৯১২।

দ্যা তোনদাবাইয়াশি ইন্টারকালচারাল কম্যুনিকেশন সেন্টার ইংরেজি, থাই, চীনা, ভিয়েতনামি এবং জাপানি ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে। সংস্থাটির যোগাযোগ নম্বর হলো: ০৭২১-৫৫-২০১৮। এই কেন্দ্রটি বিদেশি অভিভাবকদের শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে সাহায্য করার জন্য দোভাষী পাঠিয়ে থাকে এবং স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে শিশুদের জাপানি ভাষার পাঠ দেয়। এটি বিদেশি শিশুদের বন্ধু তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য গ্রীষ্মকালীন ক্লাস এবং সামার ক্যাম্পসহ সারা বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে।

আপনি যদি ওসাকা জেলার অন্যান্য পৌরসভার বিদেশি বাসিন্দা হন এবং আপনার সন্তানদের সরকারি প্রাথমিক বা জুনিয়র হাই স্কুলে পাঠাতে চান তাহলে অনুগ্রহ করে স্থানীয় শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করুন।

কানসাই অঞ্চলের ব্রাজিলিয়ানদের জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা, ‘কম্যুনিডাডে ব্রাসিলেইরা ডি কানসাই’ বা সিবিকে, পর্তুগিজ ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে। এই পরিষেবা যারা লাভ করতে চান তাদেরকে সোমবার ছাড়া সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে ০৭৮-২২২-৫৩৫০ নম্বরে ফোন করতে হবে।

হিয়োগো জেলার কোবে শহরে ‘ভিয়েতনাম ইয়েউ মেন কোবে’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ভিয়েতনাম থেকে আসা লোকজনের জন্য ভিয়েতনামি এবং জাপানি ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। সংস্থাটির সাথে যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৭৮-৭৩৬-২৯৮৭।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৩) হিয়োগো জেলা

জাপান সরকারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এদেশে বসবাসকারী ৮,০০০-এরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই অবস্থায় উদ্বেগের বিষয় হলো স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ না করলে এর নেতিবাচক প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে পারে। যেমন: এক্ষেত্রে শিশুরা হয়তো জাপানি ভাষা শেখার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে না, সেই সাথে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এবং চাকরি পেতে অসুবিধা হতে পারে।

এনএইচকে বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে, যাতে এধরনের সকল শিশুর স্কুলে গিয়ে শিক্ষা লাভ নিশ্চিত করা যায়। চলতি ধারাবাহিকে আমরা কানসাই অঞ্চলের ছয়টি জেলার বিদেশি শিশুদের স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করার জন্য তথ্য প্রদান করছি। উল্লেখ্য, স্কুলে না যাওয়া বিদেশি শিশুদের মধ্যে ১৭.৯ শতাংশ শিশু এই অঞ্চলে বসবাস করে। আজ আমরা হিয়োগো জেলা নিয়ে আলোচনা করব।

হিয়োগো জেলা শিক্ষা বোর্ডের মতে, এই জেলায় সম্ভবত ১২৪ জন বিদেশি শিশু স্কুলে যায় না। এদের অধিকাংশই কোবে, আমাগাসাকি এবং তাম্বা শহরে বাস করে।

জেলার শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত মাল্টিকালচারাল চিলড্রেন’স সেন্টারকে অনুরোধ জানানো হলে তারা স্কুলে তালিকাভুক্তির মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরাসরি পরামর্শ প্রদান করে থাকে। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আসহিইয়া শহরের হিয়োগো জেলার ইন্টারন্যাশনাল হাই স্কুলের ক্যাম্পাসে এই পরামর্শ সেবা দেয়া হয়। এই বিষয়ে রিজার্ভেশনের জন্য ফোন নম্বর হলো: ০৭৯৭-৩৫-৪৫৩৭।

এখানে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করানোর সময় অনুরোধ করা হলে দোভাষী পরিষেবা পাওয়া যায়। স্কুলে তালিকাভুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট সহায়তা ব্যবস্থার উপর প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করার লক্ষ্যে সংস্থাটি ১৬টি ভাষায় অনুবাদ করা একটি নির্দেশিকাও তৈরি করেছে। নির্দেশিকাটি অনলাইনে পাওয়া যায়।

কোবে শহরের প্রাথমিক এবং জুনিয়র হাই স্কুলে তালিকাভুক্তি এবং ভর্তির বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে, আপনার স্থানীয় ওয়ার্ড অফিসের নাগরিক পরিষেবা বিভাগের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনি যদি হিয়োগো জেলার অন্যান্য এলাকায় বাস করেন এবং আপনার সন্তানদের সরকারি প্রাথমিক এবং জুনিয়র হাই স্কুলে ভর্তি করাতে চান, তবে স্থানীয় পৌরসভা দপ্তরে আবাসন নিবন্ধন করার সময় আপনার এই সংক্রান্ত আগ্রহের কথা জানাবেন। তবে, শিশুর শিক্ষার জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি গ্রহণ না করে থাকলে অথবা আবাসিক নিবন্ধন না করে থাকলে আপনার স্থানীয় পৌরসভার নাগরিক পরিষেবা বিভাগ অথবা শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

কোবে শহরের নাগাতা ওয়ার্ডের ‘কোবে ফরেনার্স ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার’ বিদেশিদের জন্য চীনা, কোরিয়ান, ইংরেজি, ভিয়েতনামি, মঙ্গোলিয়ান এবং জাপানি ভাষায় শিক্ষা সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এই পরিষেবা কবে এবং কখন পাওয়া যায় তা জানতে তাদের ওয়েবসাইট দেখুন। ওয়েবসাইটের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার বিভাগ এবং সেই সাথে ফেসবুক ও লাইন অ্যাপের মাধ্যমেও পরামর্শ সেবা গ্রহণ করা যেতে পার। এই কেন্দ্রের যোগাযোগ নম্বর হলো: ০৭৮-৬১২-২৪০২।

কানসাই অঞ্চলের ব্রাজিলিয়ানদের জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা, ‘কম্যুনিডাডে ব্রাসিলেইরা ডি কানসাই’ বা সিবিকে, পর্তুগিজ ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে। এই পরিষেবা যারা লাভ করতে চান তাদেরকে সোমবার ছাড়া সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে ০৭৮-২২২-৫৩৫০ নম্বরে ফোন করতে হবে।

হিয়োগো জেলার কোবে শহরে ‘ভিয়েতনাম ইয়েউ মেন কোবে’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ভিয়েতনাম থেকে আসা লোকজনের জন্য ভিয়েতনামি এবং জাপানি ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। সংস্থাটির সাথে যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৭৮-৭৩৬-২৯৮৭।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৪) কিয়োতো জেলা

জাপান সরকারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এদেশে বসবাসকারী ৮,০০০-এরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই অবস্থায় উদ্বেগের বিষয় হলো স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ না করলে এর নেতিবাচক প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে পারে। যেমন: এক্ষেত্রে শিশুরা হয়তো জাপানি ভাষা শেখার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে না, সেই সাথে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এবং চাকরি পেতে অসুবিধা হতে পারে।

এনএইচকে বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে, যাতে এধরনের সকল শিশুর স্কুলে গিয়ে শিক্ষা লাভ নিশ্চিত করা যায়। চলতি ধারাবাহিকে আমরা কানসাই অঞ্চলের ছয়টি জেলার বিদেশি শিশুদের স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করার জন্য তথ্য প্রদান করছি। উল্লেখ্য, স্কুলে না যাওয়া বিদেশি শিশুদের মধ্যে ১৭.৯ শতাংশ শিশু এই অঞ্চলে বসবাস করে। আজ আমরা কিয়োতো জেলা নিয়ে আলোচনা করব।

কিয়োতো জেলা শিক্ষা বোর্ডের মতে, এই জেলায় সম্ভবত ২৫ জন বিদেশি শিশু স্কুলে যায় না।

কিয়োতো জেলার আন্তর্জাতিক কেন্দ্র জাপানের বাইরে থেকে আসা বসবাসকারীদের জন্য ২৩টি ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে। এই কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বর: ০৭৫-৬৮১-৪৮০০। মঙ্গলবার, জাতীয় ছুটির দিন এবং বছরের শেষ ও নতুন বছরের ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টেলিফোনে অথবা কেন্দ্রে সরাসরি পরামর্শ সেবা দেয়া হয়। জাপানের স্কুল ব্যবস্থা, ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া এবং স্কুলের জীবনের ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট সচিত্র তথ্যসমূহ কেন্দ্রটি ৯টি ভাষায় প্রদান করে থাকে। কেন্দ্রের ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্যসমূহ ডাউনলোড করা যেতে পারে। ইংরেজি, চীনা, ফিলিপিনো, কোরিয়ান, ভিয়েতনামি, থাই, ইন্দোনেশিয়ান, স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ ভাষায় এই তথ্যসমূহ পাওয়া যায়।

কিয়োতো শহর কার্যালয়ের বিদেশি নাগরিকদের জন্য অনুসন্ধান কাউন্টার শিক্ষাসহ প্রশাসনিক পদ্ধতির বিষয়ে শহরের বিদেশি বসবাসকারীদের পরামর্শ সেবা প্রদান করে। ইংরেজি, চীনা এবং ভিয়েতনামি ভাষায় পরামর্শ সেবা দেয়া হয়। কার্যালয়টির সাথে যোগাযোগের ফোন নম্বর হলো: ০৭৫-৭৫২-১১৬১। ভাষা অনুযায়ী পরামর্শ প্রদানের দিন ও ঘন্টা ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই বিস্তারিত জানার জন্য কার্যালয়ের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

শহরের প্রদত্ত বিভিন্ন পরিষেবা, যেমন: ওয়ার্ড অফিস ও স্কুলে যোগাযোগ করতে সমস্যা হলে, সাপোর্ট ডেস্কের মাধ্যমে টেলিফোনে অনুবাদ সেবা গ্রহণ করতে পারেন।

শহরের সাকিয়ো ওয়ার্ডে অবস্থিত কিয়োতো আন্তর্জাতিক কমিউনিটি হাউসে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধান কাউন্টার থেকে কোরিয়ান, ভিয়েতনামি, নেপালি, ইন্দোনেশিয়ান, তাগালগ, থাই, পর্তুগিজ এবং স্প্যানিশ ভাষায় পরামর্শ সেবা গ্রহণ করা যায়।

কিয়োতো জেলার বিদেশি বসবাসকারীরা সরকারি প্রাথমিক ও জুনিয়র হাই স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করাতে চাইলে স্থানীয় পৌর কার্যালয়ে আবাসনের তালিকায় নিবন্ধন করার সময় অভিভাবকদের তাদের সেই ইচ্ছার কথা জানাতে হয়। আপনি যদি প্রয়োজনীয় সেই প্রক্রিয়া গ্রহণ না করেন বা আবাসন নিবন্ধন না করে থাকেন, তবে স্থানীয় কার্যালয় বা আপনার পৌরসভার নাগরিক পরিষেবা বিভাগ অথবা শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

কানসাই অঞ্চলের ব্রাজিলিয়ানদের জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা, ‘কম্যুনিডাডে ব্রাসিলেইরা ডি কানসাই’ বা সিবিকে, পর্তুগিজ ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে। এই পরিষেবা যারা লাভ করতে চান তাদেরকে সোমবার ছাড়া সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে ০৭৮-২২২-৫৩৫০ নম্বরে ফোন করতে হবে।

হিয়োগো জেলার কোবে শহরে ‘ভিয়েতনাম ইয়েউ মেন কোবে’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ভিয়েতনাম থেকে আসা লোকজনের জন্য কিয়োতোসহ কানসাই অঞ্চলে ভিয়েতনামি এবং জাপানি ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। সংস্থাটির সাথে যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৭৮-৭৩৬-২৯৮৭।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৫) শিগা জেলা

জাপান সরকারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এদেশে বসবাসকারী ৮,০০০-এরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই অবস্থায় উদ্বেগের বিষয় হলো স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ না করলে এর নেতিবাচক প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে পারে। যেমন: এক্ষেত্রে শিশুরা হয়তো জাপানি ভাষা শেখার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে না, সেই সাথে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এবং চাকরি পেতে অসুবিধা হতে পারে।

এনএইচকে বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে, যাতে এধরনের সকল শিশুর স্কুলে গিয়ে শিক্ষা লাভ নিশ্চিত করা যায়। চলতি ধারাবাহিকে আমরা কানসাই অঞ্চলের ছয়টি জেলার বিদেশি শিশুদের স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করার জন্য তথ্য প্রদান করছি। উল্লেখ্য, স্কুলে না যাওয়া বিদেশি শিশুদের মধ্যে ১৭.৯ শতাংশ শিশু এই অঞ্চলে বসবাস করে। আজ আমরা শিগা জেলা নিয়ে আলোচনা করব।

শিগা ইন্টারকালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ফর গ্রোবালাইজেশন, শিগা ফরেন রেসিডেন্টস ইনফরমেশন সেন্টারের মাধ্যমে এই জেলায় বসবাসকারী বিদেশিদের জন্য নানান ভাষায় পরামর্শ দানের ব্যবস্থা করে থাকে। এই ভাষাগুলো হলো জাপানি, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ইংরেজি, তাগালগ এবং ভিয়েতনামি।

এই তথ্য কেন্দ্রটি চীনা, কোরিয়ান, ইন্দোনেশিয়ান, নেপালি, রাশিয়ান, ইউক্রেনীয়, ফরাসি এবং থাই ভাষায় তিন পক্ষের মধ্যে ফোন কলের মাধ্যমেও সহায়তা প্রদান করে থাকে। টেলিফোন নম্বরটি হলো: ০৭৭-৫২৩-৫৬৪৬৷ পরামর্শ দানের সময় হচ্ছে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে। জাতীয় ছুটির দিন এবং বছরের শেষ ও নববর্ষের ছুটির দিনগুলোতে এই পরিষেবা বন্ধ থাকে।

শিগা জেলায় বসবাসকারী বিদেশি শিশুদের সরকারি প্রাথমিক বা জুনিয়র হাই স্কুলে ভর্তি করতে হলে শিশুদের পিতামাতা বা অভিভাবকদের ওই জেলার যে পৌর এলাকায় তারা বসবাস করেন সেখানকার পৌরদপ্তরে গিয়ে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। যাদের সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি বা যাদের আবাসিক হিসেবে নিবন্ধন করানো বাকি, তারা যেন অনুগ্রহ করে পৌর দপ্তরের নাগরিক বিভাগ অথবা পৌরসভার শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেন।

কানসাই অঞ্চলের ব্রাজিলিয়ানদের জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা, ‘কম্যুনিডাডে ব্রাসিলেইরা ডি কানসাই’ বা সিবিকে, পর্তুগিজ ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে। এই পরিষেবা যারা লাভ করতে চান তাদেরকে সোমবার ছাড়া সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে ০৭৮-২২২-৫৩৫০ নম্বরে ফোন করতে হবে।

হিয়োগো জেলার কোবে শহরে ‘ভিয়েতনাম ইয়েউ মেন কোবে’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ভিয়েতনাম থেকে আসা লোকজনের জন্য শিগাসহ কানসাই অঞ্চলে ভিয়েতনামি এবং জাপানি ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। সংস্থাটির সাথে যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৭৮-৭৩৬-২৯৮৭।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৬) নারা জেলা

জাপান সরকারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এদেশে বসবাসকারী ৮,০০০-এরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই অবস্থায় উদ্বেগের বিষয় হলো স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ না করলে এর নেতিবাচক প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে পারে। যেমন: এক্ষেত্রে শিশুরা হয়তো জাপানি ভাষা শেখার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে না, সেই সাথে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এবং চাকরি পেতে অসুবিধা হতে পারে।

এনএইচকে বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে, যাতে এধরনের সকল শিশুর স্কুলে গিয়ে শিক্ষা লাভ নিশ্চিত করা যায়। চলতি ধারাবাহিকে আমরা কানসাই অঞ্চলের ছয়টি জেলার বিদেশি শিশুদের স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করার জন্য তথ্য প্রদান করছি। উল্লেখ্য, স্কুলে না যাওয়া বিদেশি শিশুদের মধ্যে ১৭.৯ শতাংশ শিশু এই অঞ্চলে বসবাস করে। আজ আমরা নারা জেলা নিয়ে আলোচনা করব।

নারা জেলা শিক্ষা বোর্ডের মতে, এই জেলায় সম্ভবত পাঁচ জন বিদেশি শিশু স্কুলে যায় না।

এই জেলার জেআর নারা স্টেশনের অদূরে অবস্থিত ‘নারা জেলা আন্তর্জাতিক নাগরিক কেন্দ্র’ জেলার বিদেশি বাসিন্দাদের শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহুভাষিক পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। কেন্দ্রটিতে ইংরেজি, ভিয়েতনামি এবং চীনাভাষী কর্মী রয়েছে। কেন্দ্রটি ত্রিমুখী টেলিফোন কলের মাধ্যমে আরও কয়েকটি ভাষাতেও পরামর্শ সেবা প্রদান করতে পারে। দিন এবং সময়ের উপর নির্ভর করে এই সেবাসমূহ পরিবর্তিত হয়। তাই এসংশ্লিষ্ট তথ্যের জন্য কেন্দ্রের ওয়েবসাইট দেখুন। কেন্দ্রটির টেলিফোন নম্বর হলো: ০৭৪২-৮১-৩৪২০।

নারা জেলার বিদেশি বাসিন্দারা যদি তাদের সন্তানদের কোনো সরকারি প্রাথমিক বা জুনিয়র হাই স্কুলে ভর্তি করাতে চান, তাহলে স্থানীয় পৌরসভা কার্যালয়ে বাসিন্দা হিসেবে নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট অভিভাবককে এই ভর্তি হওয়ার অভিপ্রায় অবহিত করতে হবে। আপনি যদি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেন বা বাসিন্দা হিসেবে নিবন্ধন না করে থাকেন, তাহলে আপনার নিকটবর্তী স্থানীয় নাগরিক পরিষেবা বিভাগ অথবা আপনার পৌরসভার শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

কানসাই অঞ্চলের ব্রাজিলিয়ানদের জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা, ‘কম্যুনিডাডে ব্রাসিলেইরা ডি কানসাই’ বা সিবিকে, পর্তুগিজ ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে। এই পরিষেবা যারা লাভ করতে চান তাদেরকে সোমবার ছাড়া সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে ০৭৮-২২২-৫৩৫০ নম্বরে ফোন করতে হবে।

হিয়োগো জেলার কোবে শহরে ‘ভিয়েতনাম ইয়েউ মেন কোবে’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ভিয়েতনাম থেকে আসা লোকজনের জন্য নারাসহ কানসাই অঞ্চলে ভিয়েতনামি এবং জাপানি ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। সংস্থাটির সাথে যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৭৮-৭৩৬-২৯৮৭।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৭) ওয়াকাইয়ামা জেলা

জাপান সরকারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এদেশে বসবাসকারী ৮,০০০-এরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই অবস্থায় উদ্বেগের বিষয় হলো স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ না করলে এর নেতিবাচক প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে পারে। যেমন: এক্ষেত্রে শিশুরা হয়তো জাপানি ভাষা শেখার পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে না, সেই সাথে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এবং চাকরি পেতে অসুবিধা হতে পারে।

এনএইচকে বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তি হতে সাহায্য করা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে, যাতে এধরনের সকল শিশুর স্কুলে গিয়ে শিক্ষা লাভ নিশ্চিত করা যায়। চলতি ধারাবাহিকে আমরা কানসাই অঞ্চলের ছয়টি জেলার বিদেশি শিশুদের স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করার জন্য তথ্য প্রদান করছি। উল্লেখ্য, স্কুলে না যাওয়া বিদেশি শিশুদের মধ্যে ১৭.৯ শতাংশ শিশু এই অঞ্চলে বসবাস করে। আজ আমরা ওয়াকাইয়ামা জেলা নিয়ে আলোচনা করব।

ওয়াকাইয়ামা জেলার শিক্ষা বোর্ডের মতে, এমন কোনও বিদেশি শিশু সেখানে নেই, যারা স্কুলে যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই জেলার ওয়াকাইয়ামা আন্তর্জাতিক বিনিময় কেন্দ্রে জেলায় বসবাসকারী সকল বিদেশি বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করা হয়। যেসব ভাষায় এই পরিষেবা দেওয়া হয়, সেগুলো হলো জাপানি, ইংরেজি, ফিলিপিনো, চীনা এবং ভিয়েতনামি। কোন দিনে এবং কোন সময়ে এই ভাষাগুলোতে পরামর্শ সেবা পাওয়া যায়, তা অনুগ্রহ করে কেন্দ্রের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিন। কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বর হলো: ০৭৩-৪৩৫-৫২৪০। এছাড়াও, কেন্দ্রটিতে বিদেশি বংশোদ্ভূত শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য জাপানি ভাষার ক্লাসেরও আয়োজন করা হয়। ভাষা শিক্ষার ক্লাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করুন।

ওয়াকাইয়ামা শহরের বিদেশি নাগরিক, যারা জাপানি ভাষা বোঝেন, তারা ওয়াকাইয়ামা শহরের শিক্ষা বোর্ডের স্কুল সহায়তা বিভাগ থেকে তাদের বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তির বিষয়ে পরামর্শ পেতে পারেন। এই বিভাগের ফোন নম্বর হলো: ০৭৩-৪৩৫-১১৩৯৷

ওয়াকাইয়ামা জেলার বিদেশি নাগরিকরা তাদের সন্তানদেরকে সরকারি প্রাথমিক বা জুনিয়র হাই স্কুলে ভর্তি করতে চাইলে তাদেরকে স্থানীয় পৌরসভা অফিসে বসবাস নিবন্ধনের সময় এ সংক্রান্ত তালিকাভুক্তির অভিপ্রায় জানাতে হবে। আপনি যদি প্রয়োজনীয় পদ্ধতি গ্রহণ করে না থাকেন বা আপনার যদি আবাসিক নিবন্ধন করা না থাকে, তাহলে আপনার নিকটবর্তী স্থানীয় নাগরিক পরিষেবা বিভাগ অথবা আপনার পৌরসভার শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

কানসাই অঞ্চলের ব্রাজিলিয়ানদের জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা, ‘কম্যুনিডাডে ব্রাসিলেইরা ডি কানসাই’ বা সিবিকে, পর্তুগিজ ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে। এই পরিষেবা যারা লাভ করতে চান তাদেরকে সোমবার ছাড়া সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়ে ০৭৮-২২২-৫৩৫০ নম্বরে ফোন করতে হবে।

হিয়োগো জেলার কোবে শহরে ‘ভিয়েতনাম ইয়েউ মেন কোবে’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ভিয়েতনাম থেকে আসা লোকজনের জন্য ওয়াকাইয়ামাসহ কানসাই অঞ্চলে ভিয়েতনামি এবং জাপানি ভাষায় পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। সংস্থাটির সাথে যোগাযোগের নম্বর হলো: ০৭৮-৭৩৬-২৯৮৭।

এই তথ্যগুলো ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত নেয়া।