স্কুলে ভর্তি প্রশ্নোত্তর

তোকাই অঞ্চলের পরিস্থিতি

(১) আইচি জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। জরিপে এর নেতিবাচক দিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন জাপানি ভাষা শেখার ব্যাপারে অগ্রগতির অভাব এবং চাকরি পেতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ইচ্ছে করলে বিদেশি অভিভাবকরাও তাদের শিশুসন্তানদের জাপানি শিশুদের মতোই বিনাপয়সায় সরকারি স্কুলে পড়াতে পারেন। এমনকি এই তথ্যটিও অনেকের জানা নেই।

এনএইচকে স্কুলে না যাওয়া শিশুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে। চলমান ধারাবাহিকে, আমরা তোকাই অঞ্চলের চারটি জেলার উপর আলোকপাত করছি। স্কুলশিক্ষা গ্রহণ করছে বলে নিশ্চিত করা যায়নি, এরকম প্রায় ১২ শতাংশ বিদেশি শিশু এই জেলাগুলোতে বাস করে। আজ আমরা আইচি জেলার উপর নজর দিব।

 গতবছরের মে মাস পর্যন্ত যে তথ্য তাতে এই জেলায় ৬৩২ জন শিশু স্কুলে গিয়ে যথাযথভাবে লেখাপড়া করার সুযোগ গ্রহণে ব্যর্থ মর্মে আশংকা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু বাস করে চিরিউ শহরে এবং এই সংখ্যাটি হচ্ছে ১০৮। এরপরেই তোয়োকাওয়া শহরের নাম, যেখানে এই শিশুদের সংখ্যা ৭৮, এবং এধরনের ৬৪টি শিশু নিয়ে নাগোইয়া রয়েছে তালিকার তৃতীয় স্থানে।

 আইচি শিক্ষা বোর্ড জানায়, “পৌরসভাগুলোর সাথে সমন্বয় এবং জাপানি ভাষা শেখাবে এমন প্রি-স্কুল বানানোর মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে জাপানে লেখাপড়া করা সহজতর করার পরিবেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমাদের আছে।”

 চিরিউ’তে মোটরগাড়ি শিল্পের সাথে সম্পর্কযুক্ত বেশ কিছু কারখানা আছে। সেসব কারখানায় বহু বিদেশি কাজ করেন। এই শহরের ১০টি সরকারি প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলের সবক’টিতে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। চিরিউহিগাশি প্রাথমিক স্কুলে, প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়ার মতো বয়সের বিদেশি ছেলেমেয়ে যারা সদ্য জাপানে এসে পৌঁছেছে, তাদের স্কুলে যেতে আরম্ভ করার আগে তিন মাস অঙ্ক এবং জাপানিতে লিখতে পড়তে শেখা’সহ জাপানি স্কুলে অনুসৃত নিয়ম ও রীতিনীতি শেখানোর জন্য একটি বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহর কর্তৃপক্ষ সেখানে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের উপদেশ-পরামর্শ দানের একটি কেন্দ্রও গড়ে তুলেছে। কেন্দ্রটির সাথে যোগাযোগের ফোন নম্বর হলো: ০৫০-৩০৯২-৩১৫৫।

 তোয়োকাওয়া শহর কর্তৃপক্ষ একটি পরামর্শ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে, যারা শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়’সহ বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ-পরামর্শ দেয়। একেক দিন একেক ভাষায় পরামর্শ দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে এসম্পর্কে বিস্তারিত জানানো রয়েছে। এসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে, তা পাঠাতে হবে শহর কর্তৃপক্ষের ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিভিক অ্যাক্টিভিটি ডিভিশনে, যাদের ফোন নম্বর: ০৫৩৩-৮৯-২১৬৫। শহরটি বিনামূল্যে কোগিৎসুনে কিয়োশিৎসু বা ছোট শেয়াল –এই শিরোনামে জাপানি ভাষার পাঠদানের ব্যবস্থাও করেছে। স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক জাপানি ভাষা এই ক্লাসে শেখানো হয়। ক্লাস সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে হলে এই বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বিভাগটির ফোন নম্বর: ০৫৩৩-৮৯-২১৫৮।

 নাগোইয়া শিক্ষা বোর্ড ওই শহরের যেসব বিদেশি নাগরিক সন্তানদের স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করাতে ইচ্ছুক, তাদের এবিষয়ে পৌরসভার সিটিজেন বিভাগের সাথে আলোচনা করতে অনুরোধ জানাচ্ছে। বোর্ড বলছে, পিতামাতা জাপানে অবৈধভাবে বাস করলেও, তাদের সন্তানদের শিক্ষালাভকে অগ্রাধিকার দেয় বোর্ড। যাদের জাপানে বসবাসের বৈধ অনুমতিপত্র নেই, সেইসব বিদেশি নাগরিকদেরকেও শিক্ষা বোর্ড সিটিজেন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানাচ্ছে।

 নাগোইয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার স্কুলশিক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন ভাষায় উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই কেন্দ্রের ফোন নম্বর হচ্ছে: ০৫২-৫৮১-০১০০। সপ্তাহের একেক দিন একেক ভাষায় পরামর্শদানের ব্যবস্থা এখানে রয়েছে এবং এব্যাপারে বিস্তারিত বলা আছে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে।

 নিশিও শহরে, তাবুংকা রুম কেআইবিওইউ’তে, ওই শহরে বসবাসকারী বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে বিভিন্ন ভাষায় পরামর্শদানের একটি পরিষেবা চালু করা হয়েছে। জাপানি স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য প্র্য়োজনীয় জাপানি ভাষা ও অন্যান্য বিষয় শেখানোর ক্লাসের ব্যবস্থাও এখানে আছে। কেন্দ্রটির ফোন নম্বর: ০৫৬৩-৭৭-৭৪৫৭।

আইচি জেলার অন্যান্য পৌরসভা এলাকা, যেগুলোর কথা ওপরে উল্লেখ করা হয়নি, সেখানে বাসকারী অভিভাবকগণ স্থানীয় স্কুলে সন্তানদের পাঠাতে চাইলে, বিদেশি বাবা-মায়েদের এব্যাপারে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।

(২) শিযুওকা জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এনএইচকে স্কুলে না যাওয়া শিশুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে। সর্বশেষ এই ধারাবাহিকে, আমরা তোকাই অঞ্চলের চারটি জেলার উপর আলোকপাত করছি। স্কুলশিক্ষা গ্রহণ করছে বলে নিশ্চিত করা যায়নি, এরকম প্রায় ১২ শতাংশ বিদেশি শিশু এই জেলাগুলোতে বাস করে। আজ আমরা শিযুওকা জেলার উপর নজর দিব।

শিযুওকা জেলায় ২৪২ জন শিশু রয়েছে যারা স্কুলে যেতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইওয়াতা নগর এবং ফুকুরোই নগরে বাস করে, যার প্রতিটিতে এই সংখ্যা ৫০।

বিদেশি বাসিন্দাদের জন্য শিযুওকার সহায়তা কেন্দ্র ক্যামেলিয়া, বিদেশি ভাষায় পরামর্শ প্রদান করে থাকে। সপ্তাহের কোন দিন কোন ভাষার সেবা পাওয়া যায়, তা জানতে আপনাকে সংস্থাটির ওয়েবসাইট দেখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সংস্থাটির যোগাযোগের নম্বর: ০৫৪-২০২-২০০০।

ইওয়াতা নগরে, স্কুলে ভর্তি’সহ অন্যান্য শিক্ষা-সম্পর্কিত সমস্যাগুলির বিষয়ে পরামর্শের জন্য পর্তুগিজ এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ বা দোভাষী পরিষেবা রয়েছে। আপনি টেলিফোন কথা বলতে পারেন অথবা ইওয়াতা নগর শিক্ষা বোর্ডের স্কুল শিক্ষা বিভাগে যেতে পারেন। এদের যোগাযোগের নম্বর হচ্ছে: ০৫৩৮-৩৭-৪৯২১।

এছাড়া, ইওয়াতা আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং বিনিময় সমিতিও স্কুলের ভর্তির বিষয়ে পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে এবং বিনামূল্যে ব্যবহৃত স্কুলের পোশাক’সহ অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করে। তাদের সাথে যোগাযোগের নম্বর হচ্ছে: ০৫৩৮-৩৭-৪৯৮৮।

ফুকুরোই নগর শিক্ষা বোর্ড তাদের স্কুলশিক্ষা বিভাগে স্কুলে ভর্তির বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এই সেবা জাপানির পাশাপাশি পর্তুগিজ ভাষায়ও পাওয়া যায়। এদের সাথে যোগাযোগের নম্বর হচ্ছে: ০৫৩৮-৮৬-৩২২২।

এরপরে রয়েছে হামামাৎসু নগর সম্পর্কে তথ্য, যেখানে বিপুল সংখ্যক বিদেশি বাসিন্দা বসবাস করেন। নগরের নাকা ওয়ার্ডের ‘আরাসে’ নামক একটি অলাভজনক সংস্থা স্কুলে ভর্তির বিষয়ে সহায়তা দেয় এবং স্কুলে না যাওয়া শিশুদের জন্য বিনামূল্যে স্কুলশিক্ষার ব্যবস্থা করে। তাদের কাছ থেকে শিক্ষাগত বিষয়ে জাপানি এবং পর্তুগিজ ভাষায় পরামর্শ পাওয়া যায়। এদের সাথে যোগাযোগের নম্বর হচ্ছে: ০৯০-৬৫৯৩-৮৪৪৭।

এছাড়া, নাকা ওয়ার্ডেরই আরেকটি অলাভজনক সংস্থা ফিলিপিনো নাগকাইসা, তাগালগ এবং বিসাইয়া ভাষায়ও ফিলিপাইনের নাগরিকদের জন্য পরামর্শ সেবা প্রদান করে। তাগালগ এবং বিসাইয়া ভাষাভাষীদের জন্য যোগাযোগের নম্বর হচ্ছে: ০৮০-৪৩০৮-৮৩৮০ এবং ইংরেজি ও জাপানি ভাষাভাষীদের জন্য যোগাযোগের নম্বর হচ্ছে: ০৯০-৯১৭৬-৮৩৮০।

এছাড়া, হামামাৎসু নগর শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষা সহায়তা বিভাগ একাধিক ভাষায় স্কুলে ভর্তির বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে। এই ভাষাগুলো হচ্ছে পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ফিলিপিনো, ইংরেজি, চীনা এবং ফরাসি। সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ভাষাগুলো দিনভেদে পরিবর্তিত হয়। এদের সাথে যোগাযোগের নম্বর হচ্ছে: ০৫৩-৪৫৭-২৪২৮।

এপর্যন্ত যে পৌরসভাগুলোর কথা এখানে উল্লেখ করা হয়নি, সেখানে বাসকারী অভিভাবকগণ স্থানীয় স্কুলে সন্তানদের পাঠাতে চাইলে, বিদেশি বাবা-মায়েদের এব্যাপারে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৩) গিফু জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এক্ষেত্রে ইচ্ছে করলে বিদেশি অভিভাবকরাও তাদের শিশুসন্তানদের জাপানি শিশুদের মতোই বিনাপয়সায় সরকারি স্কুলে পড়াতে পারেন। এমনকি এই তথ্যটিও অনেকের জানা নেই।

এনএইচকে স্কুলে না যাওয়া শিশুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে। চলমান ধারাবাহিকে, আমরা তোকাই অঞ্চলের চারটি জেলার উপর আলোকপাত করছি। স্কুলশিক্ষা গ্রহণ করছে বলে নিশ্চিত করা যায়নি, এরকম প্রায় ১২ শতাংশ বিদেশি শিশু এই জেলাগুলোতে বাস করে। আজ আমরা গিফু জেলার উপর নজর দিব।

 গিফু জেলায় ১১৩ জন শিশু রয়েছে যারা স্কুলে যেতে ব্যর্থ হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৯ জন শিশু ওগাকি নগরে বসবাস করছে। এরপরে তালিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ২২ জন শিশু নিয়ে গিফু নগর এবং এরপর ১৯ জন শিশু নিয়ে মিনোকামো নগর।

 গিফু আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের বিদেশি অধিবাসীদের জন্য গিফু জেলার পরামর্শ কেন্দ্রটি বিভিন্ন ভাষায় বিদেশি অধিবাসীদের কাছে বিভিন্ন উদ্বেগ নিয়ে সহায়তা সরবরাহ করে থাকে। সমস্যার উপর ভিত্তি করে, কেন্দ্রটি বিদেশি অধিবাসীদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নগর কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। বিদেশি অধিবাসীরা দোভাষী’সহ ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় নগর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। গোপনীয়তা কঠোরভাবে পালন করা হয়। এই কেন্দ্রের ফোন নম্বর হচ্ছে: ০৫৮-২৬৩-৮০৬৬।

 ওগাকি নগরের সম্প্রদায়গত জীবনযাত্রার উন্নয়ন বিভাগ বিদেশি অধিবাসীদের যারা চান তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করতে তাদের জন্য পরামর্শ প্রদান করে থাকে। পর্তুগিজ এবং ইংরেজি ভাষার জন্য এদের ফোন নম্বর হচ্ছে: ০৫৮৪-৪৭-৮৫৬২ এবং জাপানি ভাষার জন্য ফোন নম্বর হচ্ছে: ০৫৮৪-৪৭-৮৫৪৬। নগরটি প্রিস্কুল ক্লাসেরও ব্যবস্থা করে থাকে। এই ক্লাসের নাম “কিরাকিরা কিয়োশিৎসু”। এখানে প্রাথমিক স্কুলের বয়সী বাচ্চাদের থেকে ছোট শিশুরা ক্লাস করে এবং তাদের অভিভাবকদের জাপানি ভাষা ও স্কুল জীবন সম্বন্ধে তথ্য সরবরাহ করা হয়। এইসব ক্লাস সম্পর্কিত পরামর্শ উপরোল্লিখিত ফোন নম্বরে ফোন করলে পাওয়া যায়।

 গিফু নগর তাদের স্কুল নিরাপত্তা সহযোগিতা বিভাগ থেকে স্কুলে ভর্তি হওয়া বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এদের ফোন নাম্বার হচ্ছে: ০৫৮-২১৪-২৩১৬। এই সহায়তা কেবল জাপানি ভাষায়ই প্রদান করা হয়।

 মিনোকামো নগরের শিক্ষা বোর্ড শিশুদের স্কুলে ভর্তি হওয়া বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এছাড়াও তারা যেসব শিশুরা প্রথমবারের মতো জাপানি স্কুলে ভর্তি হতে যাচ্ছে সেইসব শিশুদের জন্য ক্লাসের ব্যবস্থাও করে থাকে। কোবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “নোযোমি কিয়োশিৎসু”র আয়োজন করা হয়, যেখানে মৌলিক জাপানি ভাষা এবং স্কুল জীবন সম্বন্ধীয় তথ্য প্রদান করা হয়। মিনোকামো নগর শিক্ষা বোর্ডের স্কুল শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে ০৫৭৪-২৫-২১১১ নম্বরে ফোন দিয়ে এদের সাথে যোগাযোগ করা যাবে। এটিই নগর কার্যালয়ের প্রধান ফোন নম্বর।

 কানি শহরে অনেক বিদেশি অধিবাসী বসবাস করেন। যাদের মধ্যে ব্রাজিল এবং ফিলিপাইনের নাগরিকরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। কানি আন্তর্জাতিক বিনিময় সমিতি নামের একটি অলাভজনক সংস্থা বিদেশি ভাষায় শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের পড়াশুনা সংক্রান্ত সহযোগিতার ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এই পরিষেবা জাপানি, ইংরেজি, তাগালগ, বিসাইয়া এবং পর্তুগিজ ভাষায় প্রদান করা হয়। এছাড়াও তারা এই জেলার কানি ছাড়া অন্য পৌরসভায় বসবাস করা বিদেশি অধিবাসীদেরও পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এদের ফোন নম্বর হচ্ছে: ০৫৭৪-৬০-১১২২।

 গিফু জেলার অন্যান্য পৌরসভায় বসবাস করা বিদেশি অধিবাসীরা তাদের সন্তানদের স্থানীয় স্কুলে পাঠাতে চাইলে, বিদেশি বাবা-মায়েদের এব্যাপারে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৪) মিয়ে জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এক্ষেত্রে ইচ্ছে করলে বিদেশি অভিভাবকরাও তাদের শিশুসন্তানদের জাপানি শিশুদের মতোই বিনাপয়সায় সরকারি স্কুলে পড়াতে পারেন। এমনকি এই তথ্যটিও অনেকের জানা নেই।

এনএইচকে স্কুলে না যাওয়া শিশুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এই বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে। চলমান ধারাবাহিকে, আমরা তোকাই অঞ্চলের চারটি জেলার উপর আলোকপাত করছি। স্কুলশিক্ষা গ্রহণ করছে বলে নিশ্চিত করা যায়নি, এরকম প্রায় ১২ শতাংশ বিদেশি শিশু এই জেলাগুলোতে বাস করে। আজ আমরা মিয়ে জেলার উপর নজর দিব।

 জেলায় ৯ জন শিশু সম্ভবত স্কুলে যাচ্ছে না বলে মিয়ে জেলার কর্মকর্তারা অবগত আছেন।

 শিক্ষা এবং দৈনন্দিন জীবনের নানারকম সমস্যা নিয়ে বিদেশি বসবাসকারীদের পরামর্শ দেয়ার জন্য এই জেলা মিয়ে পরামর্শ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। কেন্দ্রের ফোন নম্বর হচ্ছে: ০৮০-৩৩০০-৮০৭৭।

 জেলার পৌরসভাগুলোর মধ্যে ইয়োক্কাইচি নগরে সবচেয়ে বেশি বিদেশির বসবাস। স্কুলে যোগ দেয়া এবং সার্বিক শিক্ষা বিষয়ে বিদেশি বসবাসকারীদের নগরটি পরামর্শ দিয়ে থাকে। জাপানি ভাষার প্রাথমিক শিক্ষা এবং স্কুল জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের ক্লাসের ব্যবস্থাও নগরটি করে দেয়। বিস্তারিত জানার জন্য ইয়োক্কাইচি নগর শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা শাখায় এই নম্বরে যোগাযোগ করুন: ০৫৯-৩৫৪-৮২৫৫।

 ৎসু নগরের স্কুল শিক্ষা বিভাগ বেশ কয়েকটি ভাষায় বিদেশি বসবাসকারীদের এই নম্বরে পরামর্শ দিয়ে থাকে: ০৫৯-২২৯-৩১৪৬। ৎসু শহর বিদেশি শিশুদের জন্য জাপানি ভাষার ক্লাসের ব্যবস্থা করে আসছে। ক্লাস সম্পর্কে তথ্য পেতে হলে মানবাধিকার শিক্ষা বিভাগে এই নম্বরে যোগাযোগ করুন: ০৫৯-২২৯-৩২৫৩। এই উভয় সেবা কেবল জাপানি ভাষায় পাওয়া যায়।

 সুযুকা শহরে অলাভজনক একটি সংগঠন আইদেনশা বিদেশি বসবাসকারীদের পর্তুগিজ ও ইংরেজি ভাষায় পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকে। ফেসবুক এবং ই-মেইলে এরা জবাব দেয়। কর্মকর্তারা বলেছেন বিস্তারিত জানার জন্য অনুগ্রহ করে এদের ওয়েবসাইট দেখে নিন।

 ইগা নগরে ৎসুতামারু নামের একটি অলাভজনক সংস্থা বিদেশি এবং বিদেশের সাথে সম্পর্কিত শিশুদের সাহায্য করে। বেশ কয়েকটি ভাষায় এই নম্বরে এরা পরামর্শ দিয়ে থাকে: ০৫৯৫-২৩-০৯১২।

 মিয়ে জেলার বিদেশি বসবাসকারীরা তাদের সন্তানদের সরকারি প্রাইমারি ও জুনিয়র হাই স্কুলে তালিকাভুক্ত করাতে চাইলে অভিভাবকদের মূলত কর্মকর্তাদের কাছে তাদের সেই ইচ্ছা অবশ্যই পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে। উপরে উল্লেখ করা নগরগুলো’সহ শহর বা গ্রামে চলে আসার প্রক্রিয়া শুরু করার সময় এটা তাদের অবশ্যই করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নেয়া।