স্কুলে ভর্তি প্রশ্নোত্তর

টোকিও এবং চারিপাশের ছয়টি জেলার পরিস্থিতি

(১) টোকিও

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই ফলাফল সারা দেশজুড়ে একধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

এপ্রসঙ্গে আরও জানতে চলতি মাসে আমরা বৃহত্তর টোকিও এলাকায় নজর দিব, যেখানে সম্ভবত স্কুলে না যাওয়া দেশের ৬২ শতাংশ বিদেশি শিশুরা বসবাস করেন। এই অনুপাত সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রেক্ষিতে, বর্তমান ধারাবাহিকে স্কুলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি এবং সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত টোকিওতে ২,৭৪৮ জন শিশু স্কুলে যায় না। এই সংখ্যকটি হলো দেশের সর্বোচ্চ।

বিদেশি নাগরিকরা জাপানের সরকারি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে শিশুদের ভর্তি করাতে চাইলে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

ভর্তি পদ্ধতি এবং জাপানের বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য টোকিও মেট্রোপলিটন শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ২০টি ভাষায় দেয়া আছে।

যেসব সংগঠন বিদেশিদের স্কুলে ভর্তি করতে সহায়তা করে থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো মাল্টিকালচারাল সেন্টার টোকিও। এটি টোকিওর আরাকাওয়া ওয়ার্ডে অবস্থিত একটি অনুমোদিত অলাভজনক সংস্থা। সংস্থাটি স্কুলে ভর্তি’সহ শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং উদ্বেগ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। বৃহত্তর টোকিও এলাকায় বসবাসকারী বিদেশিদের কাছ থেকে এরা পরামর্শও গ্রহণ করে থাকে। সংস্থাটির সাথে যোগাযোগ করার ফোন নম্বর হলো: ০৩-৬৮০৭-৭৯৩৭।

উপাত্তের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিনাতো নগরে স্কুলে না যাওয়া শিশুর সংখ্যা ৪৩২, যা হলো সর্বোচ্চ। এর পরে রয়েছে শিবুইয়া ওয়ার্ড, যেখানে এই সংখ্যা হলো ২৯২ এবং শিনজুকু ওয়ার্ডে ২৯০ জন। এই তিনটি পৌরসভায় কোন পরিবারের আগমন ঘটলে, পৌর দপ্তরে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্নের পর তিনটি পৌরসভার স্থানীয় সরকার ইংরেজি এবং বিভিন্ন ভাষায় বিস্তারিত তথ্য প্রদানের মাধ্যমে শিশুদের স্কুলে ভর্তি করার জন্য পরিবারের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে কিনা তা নির্ধারণ করা কঠিন বলে পৌর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কারণ, ঠিক যতগুলো পরিবারের সেই পৌরসভায় আগমন হচ্ছে ঠিক সেরকমই সংখ্যক পরিবার সেখান থেকে বেরিয়েও যাচ্ছে।

মিনাতো নগর শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে যেসব দেশের শিশুরা সম্ভবত স্কুলে যাচ্ছে না ক্রমহ্রাসমান হারে দেশগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়া। মিনাতো নগর শিক্ষা বোর্ড স্কুলে ভর্তির বিষয়ে বিদেশিদের পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকে। সরাসরি যারা দপ্তরে চলে যান তাদের জন্য অনুবাদ যন্ত্র সম্বলিত কম্পিউটার ট্যাবলেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষায় এই সেবা প্রদান করা হয়। টেলিফোনে যারা কথা বলতে চান তাদের জন্য ত্রিমুখী কল সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। অনুগ্রহ করে শিক্ষা বোর্ডের স্কুল বিষয়ক শাখার সাথে যোগাযোগ করতে ০৩-৩৫৭৮-২১১১ নম্বরে ফোন করুন।

শিবুইয়া ওয়ার্ডের শিক্ষা বোর্ড জানায় যে ক্রমহ্রাসমান হারে বিদেশি শিশুদের জন্মস্থান হল দক্ষিণ কোরিয়া, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিক্ষা বোর্ডের স্কুল বিষয়ক শাখা স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকে। এই সেবা সরাসরি তাদের অফিসে এবং টেলিফোনের মাধ্যমে জাপানি, চীনা ও ইংরেজি ভাষায় পাওয়া যায়। পৌরসভা জানায় যে অন্যান্য ভাষায় সহায়তার প্রয়োজন থাকলে তারা দোভাষীর ব্যবস্থা করে দিতে পারে। অনুগ্রহ করে শিবুইয়া ওয়ার্ডের শিক্ষা বোর্ডের স্কুল বিষয়ক শাখার সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি চাইলে ওয়ার্ড অফিসের প্রধান নম্বর: ০৩-৩৪৬৩-১২১১’এ টেলিফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেন।

শিনজুকু ওয়ার্ডে ক্রমহ্রাসমান হারে স্কুলে যায় না এমন শিশুদের জন্মস্থান হলো চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মিয়ানমার, নেপাল এবং ভিয়েতনাম। শিনজুকু ওয়ার্ডের শিক্ষা বোর্ডের স্কুল বিষয়ক শাখার পরামর্শ সেবা প্রদান করার পাশাপাশি দোভাষীর জন্য কম্পিউটার ট্যাবলেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষায় সহায়তা প্রদান করে থাকে। শিনজুকু স্কুল বিষয়ক শাখার সাথে যোগাযোগ করার ফোন নম্বর হলো: ০৩-৫২৭৩-৩০৮৯।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত নেয়া।

(২) কানাগাওয়া জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই ফলাফল সারা দেশজুড়ে একধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

এপ্রসঙ্গে আরও জানতে চলতি মাসে আমরা বৃহত্তর টোকিও এলাকায় নজর দিব, যেখানে সম্ভবত স্কুলে না যাওয়া দেশের ৬২ শতাংশ বিদেশি শিশুরা বসবাস করেন। প্রেক্ষিতে, বর্তমান ধারাবাহিকে স্কুলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি এবং সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

আজ আমরা কানাগাওয়া জেলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করবো।

বিদেশি নাগরিকরা জাপানের সরকারি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে শিশুদের ভর্তি করাতে চাইলে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত করে না থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

কানাগাওয়া জেলায় যেসব বিদেশি শিশুকে হয়তো স্কুলে ভর্তি করানো হয়নি, তাদের মধ্যে ৯৬.৭ শতাংশেরই বসবাস ইয়োকোহামা এবং কাওয়াসাকি শহরে।

ইয়োকোহামা নগর কর্তৃপক্ষ সরকারকে জানিয়েছে এরকম ৮৬৭ জন শিশু শহরটিতে বাস করে। তবে ইয়োকোহামা শিক্ষা বোর্ড বলছে ২০২১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যভিত্তিক সংখ্যা এটি। পরে শিক্ষাবোর্ড, এমন সব বিদেশি নাগরিক যাদের শিশু সন্তানরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে কি না বোঝা যাচ্ছে না, তাদের বাড়িতে প্রশ্নমালা পাঠিয়ে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবর নিয়ে অবস্থা জানার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বোর্ড বলছে, ৪৫৪ জন শিশু’র শিক্ষা সংক্রান্ত অবস্থার বিষয়ে তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।

নগর কর্মকর্তাদের মতে, স্কুলে ভর্তি না হওয়া সর্বাধিক সংখ্যক বিদেশি শিশু যেসব দেশের নাগরিক, তার মধ্যে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, ভিয়েতনাম ও ব্রাজিল’এর নাম রয়েছে।

ইয়োকোহামা’র বিদেশি অভিবাসী সংক্রান্ত তথ্যকেন্দ্রটি প্যাসিফিকো ইয়োকোহামা কমপ্লেক্স’এ অবস্থিত। এই কেন্দ্রে জাপানি, ইংরেজি, চীনা, কোরীয়, ভিয়েতনামি, নেপালি, ইন্দোনেশীয়, তাগালগ, থাই, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ এবং ইউক্রেনীয়’র মতো ১২টি ভাষায় শিক্ষা ও জনকল্যাণ’সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপদেশ-পরামর্শ দানের পরিষেবা রয়েছে।

প্রয়োজনে ইয়োকোহামা ফরেন রেসিডেন্টস ইনফরমেশন সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করুন। কেন্দ্রেটির টেলিফোন নম্বর: ০৪৫-২২২-১২০৯।

এছাড়া ইয়োকোহামা নগরের বিভিন্ন স্থানে পরামর্শদানের আরও ১২টি কেন্দ্র রয়েছে, যা ইয়োকোহামা ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ নামে পরিচিত। এসব কেন্দ্রে আপনাদের নিজ নিজ অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষা জানা কর্মকর্তারা রয়েছেন, যাদের সাথে দেখা করে আপনারা পরামর্শ করতে পারেন।

এই কেন্দ্রগুলির সাথে যোগাযোগের টেলিফোন নম্বর এবং দপ্তর সময় জানতে ইয়োকোহামা নগর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট দেখুন।

কাওয়াসাকি নগরে, বলা হয়ে থাকে স্কুলে ভর্তি না হওয়া বিদেশি শিশুর সংখ্যা ১৬৭ জন। এই মোট সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি শিশু হচ্ছে চীনা, দক্ষিণ কোরীয়, ভারতীয় এবং নেপালি। স্কুল সংক্রান্ত তথ্যাদির জন্য অনুগ্রহ করে কাওয়াসাকি নগর শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করুন। বোর্ডের ফোন নম্বর হলো: ০৪৪-২০০-৩৭৫৮। তবে এই সেবাটি কেবলমাত্র জাপানি ভাষাতেই দেওয়া হয়।

যারা বিভিন্ন ভাষায় পরামর্শ পেতে পরিষেবার খোঁজ করছেন, তাদেরকে কাওয়াসাকি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সেন্টারটির টেলিফোন নম্বর: ০৪৪-৪৫৫-৮৮১১। সেন্টারটিতে ইংরেজি, চীনা, কোরীয়, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, তাগালগ, ভিয়েতনামি, থাই, ইন্দোনেশীয়, নেপালি এবং সহজবোধ্য জাপানি’র মতো ১১টি ভাষায় পরামর্শ করার সুযোগ রয়েছে। তবে এই ভাষাগুলো জানা কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক যে পাওয়া যায়, বিষয়টি তেমন নয়। তাই ওয়েবসাইট থেকে এব্যাপারে আরও বিস্তারিত জেনে নিন।

সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য কী কী করতে হবে, সেসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বিদেশি অভিভাবকদের নিয়ে প্রতিবছর সভার আয়োজন করে আসছে কাওয়াসাকি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার। চলতি অর্থবছরের সভাটি ২৭শে জানুয়ারি হবে মর্মে নির্দিষ্ট আছে। একটি জাপানি প্রাথমিক স্কুলের একজন সাবেক প্রিন্সিপাল এই অয়োজনে বক্তৃতা দেবেন। এছাড়া বিদেশি পিতামাতা যাদের সন্তানরা জাপানি স্কুলে লেখাপড়া করেছে, তারাও উপস্থিত থাকবেন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কাওয়াসাকি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যোগাযোগ করুন। অ্যাসোসিয়েশনের টেলিফোন নম্বর হলো: ০৪৪-৪৩৫-৭০০০।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৩) চিবা জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই ফলাফল সারা দেশজুড়ে একধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

এপ্রসঙ্গে আরও জানতে চলতি মাসে আমরা বৃহত্তর টোকিও এলাকায় নজর দিব, যেখানে সম্ভবত স্কুলে না যাওয়া দেশের ৬২ শতাংশ বিদেশি শিশুরা বসবাস করেন। প্রেক্ষিতে, বর্তমান ধারাবাহিকে স্কুলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি এবং সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

আজ আমরা চিবা জেলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করবো।

২০২২ সালের মে মাসের হিসাব অনুযায়ী, চিবা জেলায় মোট ৫০৯ জন বিদেশি শিশু রয়েছে যারা সম্ভবত স্কুলে যায় না। এরমধ্যে চিবা শহরে রয়েছে ২১৯ জন, যা জেলাটির সকল পৌরসভার মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

চিবা নগর শিক্ষা বোর্ডের ভাষ্যমতে, যদিও তারা সরকারিভাবে এই বিদেশি শিশুদের দেশভিত্তিক তথ্য সংকলন করেনি, তবে তাদের অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, এসব শিশুদের একটি উচ্চ অংশ এসেছে চীন, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনাম থেকে।

আপনি এসম্পর্কে জানতে, চিবা নগর শিক্ষা বোর্ডের সাথে ০৪৩-২৪৫-৫৯২৭ নম্বরে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। যদিও নগর শিক্ষা বোর্ডের পরামর্শগুলো মূলত জাপানি ভাষায় প্রদান করা হয়, তবে চিবা নগর আন্তর্জাতিক সমিতি থেকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য দোভাষী বা অনুবাদ সহায়তা পাওয়া যায়। সংস্থাটির ফোন নম্বর হচ্ছে: ০৪৩-২৪৫-৫৭৫০।

অন্যদিকে, ইচিকাওয়া নগর শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে যে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত, এখানে মোট ১৮০ জন শিশু ছিল যা জেলাটিতে এধরনের শিশুদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যা। তবে, নগর কর্তৃপক্ষ তাদের স্কুলে ভর্তির পরিস্থিতি নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি বোর্ডের তথ্য শ্রেণিবদ্ধকরণের পদ্ধতিতে সংশোধন এনে এই সংখ্যা কমাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এখনও এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যেখানে বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তির পরিস্থিতি অজানা। জাতীয়তার ভিত্তিতে এই জাতীয় শিশুদের সবচেয়ে বেশি অংশ হলো ভারতীয় এবং নেপালি।

ইচিকাওয়া নগর কার্যালয় স্কুলে ভর্তি’সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদেশিদের জন্য পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। তাদের এমন কিছু দোভাষী রয়েছেন, যারা প্রয়োজনে কম্পিউটার ট্যাবলেট ব্যবহার করে সাহায্য করতে পারেন। আরও বিস্তারিত জানার জন্য তাদের ওয়েবসাইট দেখুন। ইচিকাওয়া নগর কার্যালয়ের ফোন নম্বর হলো: ০৪৭-৭১২-৮৬৭৫।

বিদেশি নাগরিকরা জাপানের সরকারি স্কুলে শিশুদের ভর্তি করাতে চাইলে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৪) ইবারাকি জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই ফলাফল সারা দেশজুড়ে একধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

এপ্রসঙ্গে আরও জানতে চলতি মাসে আমরা বৃহত্তর টোকিও এলাকায় নজর দিব, যেখানে সম্ভবত স্কুলে না যাওয়া দেশের ৬২ শতাংশ বিদেশি শিশুরা বসবাস করেন। প্রেক্ষিতে, বর্তমান ধারাবাহিকে স্কুলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি এবং সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

আজ আমরা ইবারাকি জেলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করবো।

২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত, ইবারাকি জেলার ২৬৮ জন বিদেশি শিশু সম্ভবত স্কুলে যাচ্ছিল না। এরমধ্যে, জোসো নগরে ১০৭ জন শিশু রয়েছে, যা হলো সর্বোচ্চ সংখ্যা। এরপর রয়েছে ৎসুকুবা নগর, যেখানে এই সংখ্যা হচ্ছে ৮১।

এই দুটি নগরের কর্মকর্তারাই বলছেন, তারা এই শহরে নতুন আসা বিদেশিদের, যদি তারা তাদের শিশুদের এখানকার স্কুলে ভর্তি করতে চান, তাহলে তাদের সেই প্রক্রিয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

জোসো নগর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ব্রাজিল এবং ফিলিপাইনের নাগরিকরা হচ্ছে এই শহরে বসবাস করা বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে, নগরটির শিক্ষা বোর্ড জানাচ্ছে, স্কুলে না যাওয়া সম্ভাব্য বিদেশি শিশুর সংখ্যাগত কোন আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।

যারা জাপানি ভাষায় কথা বলতে পারেন তাদের জন্য এখানকার শিক্ষা বোর্ডের স্কুল বিষয়ক শাখা পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। এখানে যোগাযোগ করার ফোন নাম্বার হলো: ০২৯৭-৪৪-৬৩৪৬।

যাদের ভাষাগত সহায়তা প্রয়োজন, তাদের “নাগরিকদের সাথে একসঙ্গে চিন্তা-ভাবনা করা বিভাগ” নামে অভিহিত একটি বিভাগ থেকে দোভাষী সেবা প্রদান করা হয়। এই বিভাগে যোগাযোগ করার ফোন নাম্বার হলো: ০২৯৭-২৩-২১৪৫।

ৎসুকুবা নগর সরকার জানাচ্ছে চীনা, ভিয়েতনামি, দক্ষিণ কোরীয় এবং ফিলিপিনো নাগরিকরা এই শহরে বিদেশি জনসংখ্যার সবচেয়ে বড় অংশ দখল করে আছে। তবে, স্কুলে না যাওয়া সম্ভাব্য ৮১ জন শিশুর জাতীয়তার ভিত্তিতে কোন উপাত্ত প্রণয়ন তারা করেনি।

যেসব নাগরিক তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করাতে আগ্রহী, তাদের শিক্ষা বোর্ডের স্কুল বিষয়ক শাখায় পরিদর্শন করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে অথবা টেলিফোন পরামর্শের জন্য ০২৯-৮৮৩-১১১১ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। নম্বরটিতে ফোন করলে আপনাকে এই শাখার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হবে। যদি আপনার ভাষাগত সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে সেই ধরনের সেবা এই শহরের আন্তর্জাতিকীকরণের প্রসার সংক্রান্ত বিভাগের সহায়তা নিয়ে প্রদান করা হবে।

ইবারাকি জেলাভিত্তিক একটি অলাভজনক সংগঠন, “কমন্স” যেসব বিদেশি নাগরিকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করতে চান তাদের পরামর্শ প্রদান করে থাকে। তারা জোসো শহরের পাশাপাশি এই জেলার অন্যান্য পৌরসভার অধিবাসীদেরও পরামর্শ প্রদান করে থাকে। দিনের বিভিন্ন সময়ে ইংরেজি, পর্তুগীজ, তাগালগ এবং উর্দু ভাষায় এই সেবা প্রদান করা হয়। তাই জাপানি ভাষা না জানলে, অনুগ্রহ করে পূর্বাহ্নে ফোন করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে অ্যাপয়েনমেন্ট করে নিন। কমন্স বিদেশি নাগরিকদের শিশুদের হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ প্রদান করতে সক্রিয়। কমন্সের ফোন নাম্বার হলো: ০২৯৭-৪৪-৪২৮১।

বিদেশি নাগরিকরা ইবারাকি জেলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিশুদের ভর্তি করাতে চাইলে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৫) গুনমা জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই ফলাফল সারা দেশজুড়ে একধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

এপ্রসঙ্গে আরও জানতে চলতি মাসে আমরা বৃহত্তর টোকিও এলাকায় নজর দিব, যেখানে সম্ভবত স্কুলে না যাওয়া দেশের ৬২ শতাংশ বিদেশি শিশুরা বসবাস করেন। প্রেক্ষিতে, বর্তমান ধারাবাহিকে স্কুলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি এবং সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

আজ আমরা গুনমা জেলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করবো।

২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত গুনমা জেলায় ২৩৩ জন শিশু সম্ভবত স্কুলে যোগ দেয়নি, যার মধ্যে ওতা শহরের ১৩৭ জন, যা হলো সর্বোচ্চ এবং এরপরে রয়েছে ৬৩ জন শিশু নিয়ে ইসেসাকি নগর এবং ১৩ জন শিশু নিয়ে ওইযুমি শহর।

বিদেশি শিশুদের নিজ লেখাপড়ায় সহায়তা প্রদানের জন্য গুনমা জেলা “হারমোনি” নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। এই ওয়েবসাইটে স্কুলে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় পদ্ধতির ব্যাখ্যা দিয়ে সাতটি ভাষায় ভিডিও এবং বিদেশি শিশুদের স্কুলে উপস্থিত থাকার ফুটেজ যুক্ত করেছে। একই সাথে সাইটটিতে বিদেশি শিশুদের গ্রহণ করার পরিবেশ কীভাবে তৈরি করে নেয়া যায় এবং জাপানি ভাষার শিক্ষা লাভ নিয়ে কীভাবে অগ্রসর হওয়া যায়, সেসব বিষয়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে স্কুল সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তির উপস্থাপনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ওতা শহরে অনেক প্রস্তুতকারক কোম্পানি রয়েছে। এখানে ব্রাজিল, পেরু, চীন ও ফিলিপাইন থেকে আসা অনেক বিদেশি বসবাসকারী রয়েছেন। স্থানীয় শিক্ষা বোর্ড বলছে, স্কুলে যাচ্ছে না এরকম সম্ভাব্য ১৩৭ জন শিশুর দেশভিত্তিক তথ্য তাদের কাছে নেই। ওতা নগর শিক্ষা বোর্ড স্কুলে ভর্তির বিষয় নিয়ে পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকে। বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগের টেলিফোন নম্বর: ০২৭৬-২০-৭০৮৪। কেবল জাপানি ভাষায় এই সেবা প্রদান করা হয়।

ইসেসাকি শহরে ব্রাজিল, পেরু এবং ফিলিপাইন থেকে আসা অনেক বিদেশি বসবাস করেন। যে ৬৩ জন শিশু সম্ভবত স্কুলে যাচ্ছে না, তাদের দেশভিত্তিক হিসাব শহর কর্তৃপক্ষের জানা নেই। নগর কার্যালয়ে অবস্থিত সাধারণ পরামর্শ সেবা কাউন্টার স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকে। বহুভাষিক তথ্য সহায়তা এবং সপ্তাহের কোন দিনগুলোতে কাউন্টার খোলা থাকে তা জানার জন্য অনুগ্রহ করে ইসেসাকি শহরের ওয়েবসাইট দেখুন। সাধারণ পরামর্শ সেবা কাউন্টারের যোগাযোগের নম্বর: ০২৭০-২৪-৫১১১।

ওইযুমি শহরে জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ হচ্ছে বিদেশি। এখানে জাপানের বাধ্যতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা এবং প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয় পদ্ধতি সম্পর্কে বিদেশিদের অবগতির জন্য বার্ষিক ব্যাখ্যা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিছু শিশু এখানকার স্থানীয় আন্তর্জাতিক স্কুলে ভর্তি হলেও অন্যান্য বিদেশি শিশুদের স্কুল ভর্তি না হওয়ার সংখ্যাটি কমিয়ে আনতে ওইযুমি শহর কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় শিক্ষা বোর্ড স্কুলে ভর্তি হওয়া নিয়ে পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকে। শিক্ষা বোর্ডের যোগাযোগের নম্বর: ০২৭৬-৬৩-৩১১১ (সরাসরি সংযোগ: ৩১১)। প্রয়োজনে পর্তুগিজ ও স্প্যানিশ ভাষায় পরামর্শ সেবা দেয়া হয়ে থাকে।

ইসেসাকির একটি আলাভজনক সংগঠন “জি কমিউনিটি” কেবল ই-মেইলে শিক্ষা এবং স্কুলে ভর্তি হওয়া নিয়ে পরামর্শ সেবা দিয়ে থাকে। এখানে টেলিফোনে পরামর্শ সেবা পাওয়া যায় না। যোগযোগের ই-মেইল ঠিকানার জন্য অনুগ্রহ করে জি কমিউনিটির ওয়েবসাইটে খোঁজ করুন।

বিদেশি নাগরিকরা গুনমা জেলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিশুদের ভর্তি করাতে চাইলে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৬) সাইতামা জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই ফলাফল সারা দেশজুড়ে একধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

এপ্রসঙ্গে আরও জানতে চলতি মাসে আমরা বৃহত্তর টোকিও এলাকায় নজর দিব, যেখানে সম্ভবত স্কুলে না যাওয়া দেশের ৬২ শতাংশ বিদেশি শিশুরা বসবাস করেন। প্রেক্ষিতে, বর্তমান ধারাবাহিকে স্কুলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি এবং সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

আজ আমরা সাইতামা জেলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করবো।

২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত সাইতামা জেলায় সম্ভবত ২১৮ জন শিশু স্কুলে যায় না। তোদা নগরে এই সংখ্যা ৪৫, যা হলো সর্বোচ্চ। এর পরেই রয়েছে সোকা নগর, শিশুর সংখ্যা যেখানে ৩৯ এবং মিসাতো নগর যেখানে এই সংখ্যা ২১। তিনটি নগরই জানিয়েছে যে, শিশু’সহ বিদেশিরা এই নগরে স্থানান্তরের সময় শিশুদের স্কুলে দাখিল করতে তারা আগ্রহী কিনা, এই প্রশ্ন কর্মকর্তারা বিদেশিদের করেন। এই ক্ষেত্রে বিদেশিরা তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করতে চাইলে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা কর্মকর্তারা প্রদান করে থাকেন।

তোদা নগরে বিদেশি বসবাসকারীদের পরামর্শ সেবা দেয়ার নির্ধারিত শাখা থেকেই বিদেশি শিশুদের স্কুলে ভর্তি করার বিষয়ে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। নগর কার্যালয়ে এলে একজন কর্মী তাদের স্কুল ভর্তির দায়িত্বে থাকা শাখায় নিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনীয় পদ্ধতি বিষয়ে সাহায্য করবেন। কর্মকর্তারা জানান যে, সহায়তা প্রদানের জন্য ইংরেজি এবং চীনা ভাষায় কথা বলতে পারেন এমন পরামর্শদাতারা সেখানে আছেন। তবে এই ধরনের সেবা সপ্তাহের সবদিন দেয়া হয় না। তাই দর্শনার্থীদের সপ্তাহের কোন দিন কোন ভাষায় সেবা প্রদান করা হয় তা জানতে নগরের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে হবে। ইংরেজি এবং চীনা ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় সেবা দানের ক্ষেত্রে পরামর্শদাতারা অনুবাদক যন্ত্র ব্যবহার করেন।

তোদা নগরের কোঅপারেশন প্রমোশন বিভাগ যারা জাপানি ভাষায় কথা বলতে পারেন তাদের জন্য পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। কোঅপারেশন প্রমোশন বিভাগের যোগাযোগ করার নম্বর হলো: ০৪৮-৪৪১-১৮০০। তোদা পৌরসভা শিক্ষা কেন্দ্র বিদেশিদের জন্য স্কুলে ভর্তি করার বিষয়ে পরামর্শ সেবা দিয়ে হয়ে থাকে। শিক্ষা কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বর হলো: ০৪৮-৪৩৪-৫৬৬০।

সোকা শহর জাপানি ভাষায় যেসব শিশু কথা বলতে পারে না তাদের স্কুলে ভর্তিতে সহায়তা করার জন্য নেয়া পদক্ষেপের অংশ হিসাবে জাপানি ভাষা শেখার ব্যবস্থা করে থাকে। শিশুরা প্রাথমিক স্তরের জাপানি ভাষা এবং মৌলিক জাপানি সংস্কৃতি শিখতে পারে।

নগর কার্যালয়ের কোকুসাই সো-দান কর্নার বা আন্তর্জাতিক পরামর্শ কর্নারে স্কুলে ভর্তির বিষয়ে পরামর্শ সেবাও দেয়া হয়। এখানে প্রতি সোম, বুধ এবং শুক্রবার ইংরেজি, চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান, থাই এবং ফরাসি ভাষায় সেবা পাওয়া যায়। তবে ইংরেজি এবং চীনা ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় সেবা পেতে হলে আগে থেকে এখানে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে হয়। যোগাযোগ করার নম্বর হলো: ০৪৮-৯২২-২৯৭০।

মিসাতো নগরে যখন বিদেশিরা স্থানান্তরিত হন তখন নগর কর্মকর্তারা সেখানে আগত বিদেশিদের তাদের শিশুদের স্কুলে দাখিল করতে আগ্রহী কিনা সেই প্রশ্ন করেন এবং আগ্রহ প্রকাশ করলে শিশুরা স্কুলে প্রবেশ করার আগের বছরের অক্টোবর মাসে স্কুলে ভর্তির জন্য একটি নির্দেশিকা পাঠান। নগর পরিচালিত প্রাথমিক বা জুনিয়র হাই স্কুলে শিশুদের দাখিল করাতে যারা আগ্রহী, প্রয়োজনীয় পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য শহরের গাকুমা-কা বা স্কুল বিষয়ক শাখার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিদেশি অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। মিসাতো নগর শিক্ষা বোর্ড গাকুমা-কা (স্কুল বিষয়ক শাখা’র) সাথে যোগাযোগ করার নম্বর হলো: ০৪৮-৯৩০-৭৭৫৬। কেবল জাপানি ভাষায় এই সেবা পাওয়া যায়।

বিদেশি নাগরিকরা সাইতামা জেলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিশুদের ভর্তি করাতে চাইলে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত নেয়া।

(৭) তোচিগি জেলা

এক সরকারি জরিপে দেখা গেছে যে, জাপানে বসবাসকারী ৮ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিশু হয়তো স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করছে না। এই ফলাফল সারা দেশজুড়ে একধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

এপ্রসঙ্গে আরও জানতে চলতি মাসে আমরা বৃহত্তর টোকিও এলাকায় নজর দিব, যেখানে সম্ভবত স্কুলে না যাওয়া দেশের ৬২ শতাংশ বিদেশি শিশুরা বসবাস করেন। প্রেক্ষিতে, বর্তমান ধারাবাহিকে স্কুলে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি এবং সাহায্যের জন্য কোথায় যেতে হবে, এসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

আজ আমরা তোচিগি জেলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করবো।

এই জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি ব্রাজিল, পেরু এবং ফিলিপাইনের নাগরিক। অনেক বিদেশি শিশু জেলাটির দক্ষিণাংশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় একসঙ্গে বসবাস করে, যেখানে অনেক কারখানার উপস্থিতি রয়েছে। অন্যদিকে, জেলার উত্তরাংশে বিদেশি শিশুরা আলাদা আলাদা এলাকায় বসবাস করে থাকে। তোচিগি শিক্ষা বোর্ড বলছে যে বিদেশি শিশুদের গ্রহণ করার জন্য সবগুলো স্কুলকেই ভালভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।

শিক্ষা বোর্ড ৩১টি কেন্দ্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আটটি কেন্দ্রীয় জুনিয়র হাই স্কুল স্থাপন করেছে, যেখানে জাপানি ভাষার ক্লাস এবং শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হয়। বোর্ডের ভাষ্যানুযায়ী, এই ধরনের কাজের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিভিন্ন বৈঠক করেন।

গত বছরের মে মাস পর্যন্ত, জেলাটিতে সম্ভবত স্কুলে না যাওয়া ৫০ জন বিদেশি শিশু ছিল। এদের মধ্যে উৎসুনোমিয়া শহরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২০ জন এবং এরপরে ১২ জন শিশু নিয়ে ওইয়ামা শহরের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।

তোচিগি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত ‘বিদেশি বাসিন্দাদের জন্য তোচিগি পরামর্শ ও সহায়তা কেন্দ্র,’ শিক্ষাসহ জীবনযাত্রার নানা দিক নিয়ে জেলায় বসবাসরত বিদেশিদের পরামর্শ সেবা প্রদান করে থাকে। সেবাটি পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, ভিয়েতনামি এবং তাগালগ’সহ মোট ১১টি ভাষায় দেয়া হয়। কেন্দ্রটি প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য পরামর্শ চাওয়া ব্যক্তিদের সেবা প্রদান করে থাকে এবং প্রয়োজনে তাদের সহায়তার জন্য কোন বিভাগে যেতে হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়। কেন্দ্রটির ফোন নম্বর হলো: ০২৮-৬২৭-৩৩৯৯।

উৎসুনোমিয়া নগরে স্কুলে ভর্তির বিষয়ে পরামর্শ সেবা দেয়া হয় নগর শিক্ষা বোর্ডের স্কুল প্রশাসন বিভাগে। বিভাগের ফোন নম্বর হলো: ০২৮-৬৩২-২৭২৩। এই সেবাটি জাপানি ভাষায় দেয়া হয়।

অনেক গাড়ি নির্মাণ কারখানার অবস্থান থাকা ওইয়ামা নগরে অনেক শিশুই ব্রাজিল, পেরু, পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়া থেকে আসা। তবে স্কুলে না যাওয়া সম্ভাব্য ১২ জন শিশুর জাতীয়তা সম্পর্কিত তথ্য কর্মকর্তারা খুঁজে পাননি। নগর কর্তৃপক্ষ জাপানি ভাষায় দক্ষতা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন শিশুদের জন্য জাপানি ভাষার পাঠ প্রদান করে থাকে। জোতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, থাই অথবা চীনা ভাষা জানা শিক্ষকরা এই ক্লাস পরিচালনা করেন।

শিক্ষা বোর্ডের স্কুল শিক্ষা বিভাগে স্কুলে ভর্তির বিষয়ে পরামর্শ সেবা প্রদান করা হয়। শিক্ষা বিভাগের যোগাযোগ নম্বর হলো: ০২৮-৫২২-৯৬৩২। কেবল জাপানি ভাষাতেই এই পরামর্শ সেবা দেয়া হয়।

বিদেশি নাগরিকরা তোচিগি জেলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিশুদের ভর্তি করাতে চাইলে পৌরসভা অফিসে আবাসন নিবন্ধন করার সময়ই নীতিগতভাবে এই অভিপ্রায়টি জানাতে হয় এবং শিক্ষা বোর্ডে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এরকম কিছু এখনও পর্যন্ত না করে থাকলে বা আবাসন নিবন্ধন করা না থাকলে, অনুগ্রহ করে আপনার প্রকৃত আবাসস্থলের নিকটবর্তী পৌরসভাস্থ শিক্ষা বোর্ডের সাথে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যসমূহ ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সঠিক।