২০১১ সালের মার্চ মাসের পূর্ব জাপান মহাভূমিকম্প ও ৎসুনামির ভিডিওচিত্র ব্যবহার করে আমরা আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বিপর্যয়ের সময়কার শঙ্কা ও সাহসিকতার এক উপাখ্যান। জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী বিরাট এলাকা সে সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কোনো কোনো জায়গায় পুরো পাড়া বা গ্রাম ভেসে গিয়েছিল এবং বসবাসকারীরা নিজ বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এক দুর্ঘটনার কারণে তেজস্ক্রিয়তা পূর্ণ জনমানবহীন এক এলাকার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে তা স্বত্বেও, দুর্যোগ পরবর্তী দিনগুলোতে নানা বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তির মাঝেও অগণিত মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছিলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে, প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে। এই অনুষ্ঠানটি ২০২১ সালে এনএইচকে কর্তৃক প্রযোজিত। বাংলা সাবটাইটেল সম্বলিত সংস্করণটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে।
সংস্কৃতির মিলনমেলা অনুষ্ঠানে বহুসাংস্কৃতিক সমাজ গঠনের ভাবনার সাথে মিল রেখে বেশ কিছু নিয়মিত প্রতিবেদন রয়েছে। এগুলোতে বিদেশি দর্শকদের কাছ থেকে আসা জাপান সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিনিময় সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের প্রতি লক্ষ্য রাখা হয় এবং দুর্যোগের প্রস্তুতির বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
সরাসরি এবং বিস্তারিত। আমাদের পৃথিবীকে বদলে দেয়া পথ প্রদর্শক, ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা, শিল্পী এবং উদ্যোক্তাদের সাক্ষাৎকার থেকে তাদের চিন্তা-ভাবনা ও অনুপ্রেরণা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
টোকিও: ঐতিহ্য এবং সাম্প্রতিক প্রবণতা যেখানে হাত ধরাধরি করে চলে। আমরা এর ঐতিহাসিক পুরোনো এলাকাগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর সময় পথিমধ্যে অনেক আনন্দদায়ক বিস্ময়ের মুখোমুখি হই। প্রকৃত টোকিওকে আবিষ্কারের এই যাত্রায় আমাদের সাথে শামিল হোন।
আনন্দ এবং সহজে জাপানি ভাষা! এইসব সহজ অভিব্যক্তি দিয়ে আপনার জাপানি শেখাকে দ্রুত এগিয়ে নিন! সেই সাথে দরকারি ভ্রমণ টিপস এবং সহজ কান্জি’র দিকেও নজর রাখুন। এগুলোও একবার চেষ্টা করে দেখুন।
এ অনুষ্ঠান মূলত মানুষ এবং মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে। এতে জাপানের চারদিক থেকে পাওয়া বিচিত্র জীবনযাপন করা লোকজনের অন্তরঙ্গ ছবি যা অন্যদের জীবনকেও সমৃদ্ধ করে চলেছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জাপানের বিস্ময়কর রেল ব্যবস্থার নেপথ্যের দৃশ্য অনুসন্ধান। নানা আকর্ষণীয় তথ্য, নতুন প্রযুক্তি, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সেইসাথে কোথায় যেতে হবে, কীভাবে সেখানে যেতে হবে, এবং এমনি আরও অনেক তথ্য সমৃদ্ধ!
গল্পের বৈঠকখানায় জাপানের বিভিন্ন ঔপন্যাসিকের লেখা ছোট গল্পের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এতে চমৎকার সব গল্প উপভোগ করার পাশাপাশি জাপানের লোকজনের মনের অনুভূতি জানা যায়।
চলুন দেখি! এবং নানা ধরনের বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টে ঘুরে ঘুরে ভেতরে বসবাসকারী মানুষদের আশ্চর্যজনক গল্প ও পেছনের ইতিহাস জানি। সারগ্রাহী বাসস্থান থেকে শুরু করে লুকানো রত্ন, প্রতিটি পর্বেই তুলে ধরা হয় জাপানে বসবাসকারী বিচিত্র্যময় মানুষদের জীবনচর্যা। আরও আবিষ্কার করি মানুষের বসবাসের এলাকা কীভাবে তার সৃজনশীলতা এবং সংযোগকে লালন করে। স্বপ্ন ও আবেগের প্রতিফলন ঘটানো এই স্থানগুলো থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করি এবং নিজের বাড়িতে ব্যবহার করার মতো কিছু পরামর্শও জেনে নিই। সুতরাং, আর দেরি নয়, চলুন জুতা খুলে ঢুকে পড়ি রুমস! জাপানে।
জাপানে হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সাধারণত বাড়তি অর্থ এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য খণ্ডকালীন কাজ করতে দেখা যায়। তবে আজকাল এই তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক মিডিয়ায় সংযোগের মাধ্যমে ডাকাতি ও প্রতারণা'সহ নানারকম অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই কাজে নিয়োগদাতারা বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়ে তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে। অনেক সময় রাজি না হলে পরিবারের ক্ষতি করা হবে, এমন হুমকিও তাদের দেওয়া হয়। কিন্তু, তরুণ সম্প্রদায়ের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে চলার কারণ কী? এদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য কী করতে পারেন পিতামাতা এবং অন্যান্যরা?