প্রথম মিইয়াগাওয়া কোওযান নির্মিত “কাঁকড়ার মডেলযুক্ত, চকচকে বাদামী রং করা চিনামাটির পাত্র” (Katsuyu Kani haritsuke Daitsuki Hachi)

বাদামী রঙের উজ্জ্বল চকচকে প্রলেপযুক্ত একটি অমসৃণ গাত্রবিশিষ্ট চিনামাটির পাত্রের প্রান্ত ঘেঁষে দুটি কাঁকড়া আটকে রয়েছে। কাঁকড়া দুটি একেবারে সূক্ষ্ম বিচারে আসল কাঁকড়ার অনুরূপ হলেও এগুলো আসলে পাত্রটিরই অংশ। এই অসামান্য শিল্পকর্মের স্রষ্টা হলেন মৃৎশিল্পী মিইয়াগাওয়া কোওযান। তরুণ অবস্থায় কিয়োতো অঞ্চলে মৃৎশিল্পী হিসেবে তিনি সুখ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইয়োকোহামা এলাকায় পাড়ি জমান। উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে জাপানের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে ছিল চিনামাটির মৃৎশিল্প। আর এই শিল্পকর্মের নির্মাতাদের বিশ্বব্যাপী সংগ্রাহক বা ক্রেতাদের মন জয় করে নিতে শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে চরম উৎকর্ষ অর্জনের প্রয়োজন হতো। সে সময়ে পশ্চিমা একটি বিখ্যাত প্রদর্শনীতে এই স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হয়। শিল্পী হিসেবে কোওযান নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে নেন "তাকাউকিবোরি" পদ্ধতিতে তৈরি একেবারে জীবন্ত প্রাণির আদলে গড়া মডেলযুক্ত অসামান্য আলংকরিক সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে, যার একটি উদাহরণ আমরা দেখতে পাই কাঁকড়ার মডেলযুক্ত চকচকে প্রলেপযুক্ত বাদামী পাত্র শিল্পকর্মটির মধ্যে। এই প্রতিবেদনে প্রথাগত শিল্পকলা ও আধুনিকতার মধ্যবর্তী সীমারেখায়, জাপান ও বহির্বিশ্বের সেতুবন্ধন হিসেবে জাপানের জাতীয় ঐতিহ্যের ভার বহনকারী মেইজি যুগের এক অসামান্য শিল্পীকে তুলে ধরা হয়েছে।