
আধুনিকতার নতুন দিগন্তে জাপান প্রবেশ করার ঠিক পরপরই ১৮৭১ সালে “ভূতপূর্ব এদো ক্যাসলের আলোকচিত্র অ্যালবাম”-এর ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। এই অ্যালবামটিতে তোকুগাওয়া শোগুনের ক্ষমতার মহান প্রতীক এদো ক্যাসলের মোট ৬৪টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। এতে আমরা দেখতে পাই অসামান্য সামুরাই যুগ অবসানের চূড়ান্ত মুহূর্তে এদো ক্যাসলের ইতোপূর্বেই পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া কিছু দৃশ্যপট আর কিছু রয়ে যাওয়া স্থাপনার জীর্ণদশা। জাপান তখন সবেমাত্র নতুন এক যুগে প্রবেশ করতে চলেছে এবং তৎকালীন সময়ের সর্বসাম্প্রতিক মাধ্যম আলোকচিত্রের এই অ্যালবামটি সাংস্কৃতিক সম্পদ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের কাজে আলোকচিত্রের ব্যবহারের সর্বপ্রথম উদাহরণগুলোর অন্যতম। এই অ্যালবামটির নির্মাতা নিনাগাওয়া নোরিতানে ছিলেন একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ যিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এটি রেখে গিয়েছেন। এদো ক্যাসলের তৎকালীন অবস্থা সম্পর্কে তার রেখে যাওয়া আলোকচিত্র থেকে যে ধারণা পাওয়া যায় তা স্থপতি এবং ইতিহাসবিদ উভয়ে কাজে লাগাচ্ছেন।
