উত্তর-৪০০: এনএইচকে নতুন করোনাভাইরাস সম্পর্কে শ্রোতাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। জাপানে ওমিক্রন ধরনের ব্যাপক সংক্রমণের মাঝে সিডার এবং হিনোকি সাইপ্রেস পোলেন এলার্জির মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। যখন আপনি হাঁচি দেবেন বা নাক দিয়ে জলের মত সর্দি পড়তে থাকবে, তখন আপনি হয়তো ভাবতে থাকবেন এটা পোলেন এলার্জি নাকি কোভিড-১৯। আমাদের নতুন ধারাবাহিকে, যখন আপনি আপনার উপসর্গ সম্বন্ধে বুঝতে পারবেন না তখন কী করতে হবে, তার পাশাপাশি কী কী ব্যাপারে সতর্ক থাকবে হবে এবং কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে সে ব্যাপারে তুলে ধরব।
কান, নাক এবং গলার ডাক্তাররা এই উপসর্গগুলোকে পোলেন এলার্জির প্রধান উপসর্গ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন – হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে থাকা, চোখ চুলকানো, অবসাদ, ঠিকমত গন্ধ না পাওয়া, জ্বর জ্বর ভাব হওয়া, গলা ব্যথা, গলার ভিতর চুলকানো, কফ, সামান্য মাথাব্যথা এবং কান চুলকানো।
এদিকে, জাপানের জাতীয় সংক্রমণ রোগ ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায় – ৬৬.৬ শতাংশ রোগীর জ্বর থাকে, ৪১.৬ শতাংশ রোগীর কফ থাকে, ২২.৫ শতাংশ রোগীর সাধারণ অবসাদ থাকে এবং ২১.১ শতাংশ রোগীর থাকে মাথাব্যথা। ইনস্টিটিউটটি এও জানাচ্ছে, ১২.৯ শতাংশ রোগীর কফের চেয়ে বরং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত উপসর্গ দেখা যায়, ২.৭ শতাংশ রোগীর বমি বমি ভাব থাকে বা তারা বমি করে থাকে, ২.৩ শতাংশ রোগীর থাকে ডায়রিয়া এবং ০.৮ শতাংশ রোগীর থাকে গন্ধ বা স্বাদে সমস্যা।
জাতীয় ইনস্টিটিউটের অন্য এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে, ৪৫.১ শতাংশ রোগীর থাকে কফ, ৩২.৮ শতাংশ রোগীর থাকে জ্বর, ৩২.৮ শতাংশ রোগীর থাকে গলা ব্যথা, ২০.৫ শতাংশ রোগীর থাকে সর্দি, ১.৬ শতাংশ রোগীর থাকে গন্ধে সমস্যা এবং ০.৮ শতাংশ রোগীর থাকে স্বাদে সমস্যা। কিন্তু যুক্তরাজ্যের গবেষকদের একটি দলের অন্য এক সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত উপসর্গ থাকা রোগীর ৬০ শতাংশের মধ্যে হাঁচির লক্ষণ দেখা যায়।
যেহেতু উপসর্গ মানুষভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে, তাই পোলেন এলার্জি এবং ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত উভয় ধরনের লোকের হাঁচি এবং নাক দিয়ে জল পড়া’সহ একই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়ার প্রবণতা রয়েছে।
আমাদের ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বে, আমরা এই ধরনের উপসর্গ থাকা রোগী দেখা ডাক্তারদের সাথে কথা বলব।
এই তথ্যগুলো মার্চ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত নেয়া।