জাপানের কৃষি শ্বেতপত্রে খাদ্য নিরাপত্তার ওপর আলোকপাত

জাপানের কৃষি বিষয়ক সর্বসাম্প্রতিক শ্বেতপত্রে দেশে খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি কীভাবে করা যায়, সে ব্যাপারে এই প্রথমবারের মতো বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। কৃষিপণ্য আমদানির ওপর জাপানের নির্ভরশীলতা কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে ওতে।

বার্ষিক এই প্রতিবেদনটি আজ শুক্রবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের দরুন বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের ব্যাপারে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শ্বেতপত্রে বলা হয়, ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং চীনে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম ২০২২ সালের মার্চ মাসে এযাবতকালের সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। দাম এখনও উচ্চ মাত্রাতেই রয়েছে বলে জানানো হয় শ্বেতপত্রে।

জাপান অল্প কয়েকটি দেশ থেকে খাদ্যবস্তু ও সার আমদানির ওপর খুব নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে জাপান তার প্রয়োজনীয় মোট গমের শতকরা ৯৯ ভাগের ওপর আমদানি করে।

শ্বেতপত্রে বলা হয়, সারের একটি মুখ্য উপাদান ইউরিয়া আমদানির খরচ বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড উচ্চ মাত্রায় পৌঁছায় এবং দামে ব্যাপক ওঠানামা হচ্ছে। জাপানের যে পরিমাণ ইউরিয়া প্রয়োজন, তার ৯৫ শতাংশই আসে বিদেশ থেকে।

শ্বেতপত্রে দেশের মধ্যে উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজনীতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এসব পণ্য রপ্তানিকারী দেশসমূহের সাথে জাপানের সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং সরবরাহকারীদের তালিকাটিকে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তোলার আহ্বানও শ্বেতপত্রে জানানো হয়।