জি-৭’এর নেতাদের ইশতেহার নিয়ে চীনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জি-৭ হিরোশিমা শীর্ষ সম্মেলনে প্রকাশ করা একটি ইশতেহার নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

জি-৭ হিরোশিমা শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা নেতাদের ইশতেহারটি গতকাল শনিবার প্রকাশিত হয়। এতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে জি-৭’ভুক্ত দেশগুলোর উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা হয়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শনিবার রাতে এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ করেন।

বিবৃতিটিতে বলা হয়, “চীনের গুরুতর উদ্বেগ সত্ত্বেও, চীনের উপর কলঙ্ক লেপন এবং আক্রমণ করার জন্য জি-৭ চীন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ব্যবহার করার পাশাপাশি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জের মতো হস্তক্ষেপ করেছে। চীন জোরালোভাবে এর নিন্দা জানায় এবং দৃঢ়তার সাথে এর বিরোধিতা করছে”।

তাইওয়ান প্রসঙ্গে এই বিবৃতিতে বলা হয়, “তাইওয়ান হচ্ছে চীনের তাইওয়ান, কারোরই চীনের সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার সুরক্ষায় চীনা জনগণের সংকল্প, দৃঢ়তা এবং ক্ষমতাকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”।

এই বিবৃতিতে এও বলা হয়, “এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ জাপান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতি চীন গুরুতর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে”।

এতে এও বলা হয়, “সেইসব দিন এখন গত হয়েছে, যখন কেবল মুষ্টিমেয় কয়েকটি পাশ্চাত্যের দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারতো এবং তাদের অনুকূলে বৈশ্বিক বিষয়াদিতে পরিবর্তন আনতে পারতো”।

বিবৃতি আরও বলা হয়, “আমরা জি-৭’এর সদস্যদের প্রতি সময়ের চলমান প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলার পাশাপাশি বিশেষ জোট গঠনের জন্য দলবদ্ধ হওয়া, অন্যান্য দেশের রাশ টেনে ধরা ও তাদের উপর চাপ দেয়া বন্ধ করা, আঞ্চলিক জোটের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি করা ও তাতে ইন্ধন যোগানো বন্ধ করা এবং সংলাপ ও সহযোগিতার সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি”।