জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও বলেছেন যে দেশের ক্রমশ হ্রাস পেয়ে চলা জন্মহার মোকাবিলা করা হবে সরকারের একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সোমবার সংসদের সাধারণ অধিবেশনের প্রথম দিনে তার নীতি সংক্রান্ত বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কিশিদার ভাষ্যমতে, অনুমিত হিসেব অনুযায়ী, জাপানে গত বছর জন্মের সংখ্যা ৮ লক্ষের কম ছিল। তিনি বলেন, জন্মের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নজিরবিহীন পাল্টা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাবে। তার ভাষ্যানুযায়ী, তিনি এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো প্রণয়নের পাশাপাশি স্থিতিশীল আর্থিক উৎস খুঁজবেন৷
এছাড়া, জাপানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন কিশিদা। তিনি বলেন, সরকার পাঁচ বছরে ৪৩ লক্ষ কোটি ইয়েন বা ৩৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের সমমূল্যের প্রতিরক্ষা বাজেট নিশ্চিত করবে। তিনি এই আভাস দেন যে এর প্রায় এক চতুর্থাংশ তহবিল কর বৃদ্ধির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী এও বলেন যে, সরকার দর বৃদ্ধিও মোকাবিলা করবে। তিনি বলেন, সরকার জ্যেষ্ঠতা-ভিত্তিক মজুরি ব্যবস্থা পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে শ্রমবাজারের সংস্কার ত্বরান্বিত করার চেষ্টা’সহ বেতন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালাবে।
এছাড়া, কর্মসংস্থানের অবস্থা অস্থায়ী থেকে স্থায়ীতে পরিবর্তন করে নিতে চাওয়া লোকজনের পাশাপাশি পুনঃদক্ষতা অর্জনের জন্যও সমর্থন দেয়ার কথা উল্লেখ করেন কিশিদা।
জাপান কীভাবে জ্বালানির স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করবে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কিশিদা বলেন, সরকার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী প্রজন্মের চুল্লি নির্মাণের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি পারমাণবিক চুল্লির কার্যক্রমকেও বাড়িয়ে নেবে।
কিশিদা এও বলেন যে করোনাভাইরাসকে পুনঃশ্রেণীকরণের মাধ্যমে এই বসন্তে এটিকে মৌসুমী ফ্লুর মতো একই শ্রেণীতে স্থানান্তর করার বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখবে সরকার।