কম্বোডিয়ার ঘাঁটিতে নোঙর করেছে চীনের যুদ্ধজাহাজ

যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে, চীনের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত কম্বোডিয়ার একটি বন্দরে নোঙর করেছে।

চীনের আর্থিক সহায়তায় রিম নৌ ঘাঁটির সম্প্রসারণ কাজ চলছে। ওয়াশিংটন সন্দেহ করছে বেইজিং সেটাকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। কম্বোডিয়া বলছে ঘটনা তা নয়।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বৃহস্পতিবার জানায় যে, চীনা নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ চার মাসেরও বেশি সময় সেই ঘাঁটিতে কাটিয়েছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, সেই জাহাজগুলো হচ্ছে একমাত্র জাহাজ যেগুলো চীনের অর্থায়নে নির্মিত নতুন একটি জেটিতে নোঙর করে।

গত বছর কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঘাঁটিতে তার একটি সফরের ছবি পোস্ট করেছিলেন। চীনের যুদ্ধজাহাজ বলে মনে হওয়া জাহাজগুলোকে সেখানে অন্যান্য জাহাজের মধ্যে দেখা গেছে।

দক্ষিণ কম্বোডিয়ার সেই নৌ ঘাঁটি দক্ষিণ চীন সাগরের কাছে অবস্থিত, বেইজিং এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যেখানে ভূখণ্ডগত বিরোধ চলছে।

২০১৯ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল যে, সহায়তার বিনিময়ে চীনের সামরিক বাহিনীকে ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে কম্বোডিয়া গোপনে একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে।

ঘাঁটির কিছু অংশের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় বেইজিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে ওয়াশিংটন "মারাত্মক উদ্বেগ" প্রকাশ করেছে।

চীনের সামরিক বন্দর ব্যবহার করার বিষয়টি নম পেন অস্বীকার করেছে। এ মাসের প্রথমদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে সিনেটের সভাপতি হুন সেন ফেসবুকে আভাস দিয়েছিলেন যে, চীনা সামরিক বাহিনীকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলে তা নিজস্ব সংবিধান ও স্বাধীনতা কম্বোডিয়ার লঙ্ঘন করা হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, "চীনের বিরোধীতা করার জন্য আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়া থেকে বিরত থাকতে আপনাদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।"