এনএইচকে ওয়ার্ল্ড > সহজে জাপানি ভাষা > মূল পৃষ্ঠা > টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন > ক্রিয়াপদের নাই-রূপ (পাঠ 21)

টিচার, আমাদের বুঝিয়ে দিন

ক্রিয়াপদের নাই-রূপ (পাঠ 21)

ক্রিয়াপদের শেষে নাই অংশটি যুক্ত হলে, তখন সেই রূপকে বলা হয় "ক্রিয়ার নাই রূপ"। ক্রিয়ার "মাস্‌" রূপ থেকে "নাই" রূপে পরিবর্তনের নিয়ম ব্যাখ্যা করা যাক। অর্থাৎ মাস্‌-রূপ থেকে নৈমিত্তিক বা অমার্জিত না-বাচক ক্রিয়ারূপ হিসেবে নাই-রূপ গঠন। প্রথমত, মাস্ অংশের ঠিক আগের সিলেবলটি যদি এ-কারান্ত উচ্চারণ হয়, তাহলে শুধু মাস অংশের পরিবর্তে নাই জুড়ে দিলেই হয়ে যাবে। যেমন, "তাবেমাস্‌"(খাওয়া), ক্রিয়াটি হবে "তাবেনাই"(অর্থাৎ না খাওয়া)।

আবার, "মাস্‌" অংশের ঠিক আগের সিলেবলটি যদি ই-কারান্ত উচ্চারণ হয়, সেক্ষেত্রে দুটি নিয়ম প্রযোজ্য। কিছু কিছু ক্রিয়ার ক্ষেত্রে , শুধু মাস অংশের পরিবর্তে নাই জুড়ে দিলেই চলে। যেমন, "ওকিমাস্‌"(জেগে ওঠা), কথাটি হয়ে যাবে "ওকিনাই"(না ওঠা)।
এই ধাঁচের অন্যান্য ক্রিয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় নিয়মটি প্রযোজ্য, আর তা হল, মাস্‌ অংশের পরিবর্তে নাই বসবে বটে, তবে তার ঠিক আগে থাকা ই-কারান্ত উচ্চারণটিকে আ-কারান্ত বানাতে হবে।
একটি ক্রিয়ার সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যাক। "ইকিমাস্‌" মানে "যাওয়া"। এখানে -মাস্‌ অংশের আগের সিলেবলটি হচ্ছে "কি"। তাই প্রথমে এই "কি" উচ্চারণটিকে করে দিন "কা", এবং এরপর -মাস-এর পরিবর্তে জুড়ে দিন নাই। তাহলে, "ইকিমাস্‌" ক্রিয়াটির –নাই রূপ হবে "ইকানাই"( না যাওয়া)।

কিন্তু -মাস্‌ অংশের আগের সিলেবল হিসেবে যদি ই-কারান্ত ব্যঞ্জন বর্ণের উচ্চারণ না থেকে, শুধু –ই স্বরবর্ণ থাকে, তাহলে –ই উচ্চারণের পরিবর্তে –ওয়া জুড়ে দিন, এবং এরপর লাগিয়ে দিন –নাই। এই নিয়মে, "ৎসুকাইমাস্‌" (ব্যবহার করা), ক্রিয়াটি হবে "ৎসুকাওয়ানাই" (ব্যবহার না করা)।

সবশেষে এমন একটি ক্রিয়া যেটি এসব নিয়মে পড়ে না। "কিমাস্‌" (আসা) ক্রিয়াটির –নাই রূপ হল "কোনাই" (না আসা)।

এ প্রসঙ্গে দেখুন "শিক্ষণ উপকরণ" মেনু বা পাঠ্যবইয়ের পরিশিষ্ট
*আপনি এনএইচকে ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যাবেন।